সকল শান্তিরক্ষীদের বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দেশের ভাবমূর্তি বজায় রেখে পেশাদারিত্ব, সততা,
নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার সকালে নগরীর বঙ্গবন্ধু
আন্তাজর্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস ২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে
ভাষণকালে এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস ২০১৫ উপলক্ষে ঢাকাস্থ জাতিসংঘ অফিসের সহায়তায় বাংলাদেশ
সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ
আলী, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল
করিম ভুইয়া, ঢাকাস্থ জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিনস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রীবর্গ, উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্য, বিদেশী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর সাবেক শান্তিরক্ষী,
নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীরর কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী পরে মালি ও কঙ্গোতে শান্তিরক্ষীদের কার্যক্রম নিয়ে সেনাবাহিনীর সে সকল শান্তিরক্ষী
সদস্য ভিডিও কনফারেন্স কাজে উন্নয়ন ঘটান তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এর আগে বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষায় দায়িত্ব পালনকালে এবং সন্ত্রাসীদের আক্রমণে নিহত
শান্তিরক্ষীদের স্বরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের
শান্তিরক্ষীদের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর
সকল শান্তিরক্ষীদের বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দেশের ভাবমূর্তি বজায় রেখে তাদের বর্তমান
পেশাদারিত্ব, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা বজায় রাখার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানচ্ছি। মিশনগুলোতে
শান্তিরক্ষীরা যাতে আরও দক্ষতা ও কার্যকরীভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে লক্ষ্যে সেনাবাহিনী
ও পুলিশকে আপগ্রেড করতে সরকারী অঙ্গিকারের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামসহ বাংলাদেশের সকল শান্তিরক্ষী যাতে আরো
আত্মবিশ্বাসের সাথে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারে, সে জন্য সরকারের সকল প্রয়াস
অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববাসীর পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনাদের এই
ভূমিকা চিরকাল স্মরণ রাখবে।
এই ঐতিহ্যবাহী দিনটি সুন্দরভাবে উদযাপনের জন প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান
বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে
বলেন, আপনারা বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শাক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা
করবেন, বিশ্বে বাংলাদেশের পতাকাকে সমুন্নত রাখবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
জাতিসংঘ মিশন এবং বহুজাতিক বাহিনীতে শান্তিরক্ষীদের এ অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে
বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে-এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ মিশনে
আমাদের এই কার্যকর অংশ্রগ্রহণ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের অবস্থানকে সুসংহত করেছে এবং
একই সাথে তা বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশসমূহের সাথে আমাদের দেশের
পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, আজ সার্ক, ওআইসি
এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের দৃপ্ত
অংশগ্রহণ এদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি মর্যাদা সম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ১২২টি দেশের ১ লক্ষ ৭ হাজার ৮০৫ জন শান্তিরক্ষী
নিয়োজিত রয়েছেন। তার মধ্যে বাংলাদেশেরই ৯ হাজার ৫৯২ জন শান্তিরক্ষী বিভিন্ন মিশনে সক্রিয়,
যার মধ্যে রয়েছে ২০৫ জন মহিলা শান্তিরক্ষী। আমাদের শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বর্তমানে বিশ্বে
নিয়োজিত সর্বমোট সংখ্যার ৯ শতাংশ, যা সত্যিই গর্ব করার মত।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আমাদের সর্বমোট ১২৪ জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন।
যার মধ্যে গত জুন ২০১৪ হতে মে ২০১৫ পর্যন্ত ৬ জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন। আমি এ সকল
বীরসেনাদের এবং তাদের পরিবারবর্গকে জানাই আমার সশ্রদ্ধ সালাম।
নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার সকালে নগরীর বঙ্গবন্ধু
আন্তাজর্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস ২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে
ভাষণকালে এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস ২০১৫ উপলক্ষে ঢাকাস্থ জাতিসংঘ অফিসের সহায়তায় বাংলাদেশ
সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ
আলী, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল
করিম ভুইয়া, ঢাকাস্থ জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিনস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রীবর্গ, উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্য, বিদেশী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর সাবেক শান্তিরক্ষী,
নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীরর কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী পরে মালি ও কঙ্গোতে শান্তিরক্ষীদের কার্যক্রম নিয়ে সেনাবাহিনীর সে সকল শান্তিরক্ষী
সদস্য ভিডিও কনফারেন্স কাজে উন্নয়ন ঘটান তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এর আগে বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষায় দায়িত্ব পালনকালে এবং সন্ত্রাসীদের আক্রমণে নিহত
শান্তিরক্ষীদের স্বরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের
শান্তিরক্ষীদের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর
সকল শান্তিরক্ষীদের বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দেশের ভাবমূর্তি বজায় রেখে তাদের বর্তমান
পেশাদারিত্ব, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা বজায় রাখার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানচ্ছি। মিশনগুলোতে
শান্তিরক্ষীরা যাতে আরও দক্ষতা ও কার্যকরীভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে লক্ষ্যে সেনাবাহিনী
ও পুলিশকে আপগ্রেড করতে সরকারী অঙ্গিকারের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামসহ বাংলাদেশের সকল শান্তিরক্ষী যাতে আরো
আত্মবিশ্বাসের সাথে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারে, সে জন্য সরকারের সকল প্রয়াস
অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববাসীর পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনাদের এই
ভূমিকা চিরকাল স্মরণ রাখবে।
এই ঐতিহ্যবাহী দিনটি সুন্দরভাবে উদযাপনের জন প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান
বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে
বলেন, আপনারা বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শাক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা
করবেন, বিশ্বে বাংলাদেশের পতাকাকে সমুন্নত রাখবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
জাতিসংঘ মিশন এবং বহুজাতিক বাহিনীতে শান্তিরক্ষীদের এ অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে
বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে-এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ মিশনে
আমাদের এই কার্যকর অংশ্রগ্রহণ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের অবস্থানকে সুসংহত করেছে এবং
একই সাথে তা বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশসমূহের সাথে আমাদের দেশের
পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, আজ সার্ক, ওআইসি
এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের দৃপ্ত
অংশগ্রহণ এদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি মর্যাদা সম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ১২২টি দেশের ১ লক্ষ ৭ হাজার ৮০৫ জন শান্তিরক্ষী
নিয়োজিত রয়েছেন। তার মধ্যে বাংলাদেশেরই ৯ হাজার ৫৯২ জন শান্তিরক্ষী বিভিন্ন মিশনে সক্রিয়,
যার মধ্যে রয়েছে ২০৫ জন মহিলা শান্তিরক্ষী। আমাদের শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বর্তমানে বিশ্বে
নিয়োজিত সর্বমোট সংখ্যার ৯ শতাংশ, যা সত্যিই গর্ব করার মত।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আমাদের সর্বমোট ১২৪ জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন।
যার মধ্যে গত জুন ২০১৪ হতে মে ২০১৫ পর্যন্ত ৬ জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন। আমি এ সকল
বীরসেনাদের এবং তাদের পরিবারবর্গকে জানাই আমার সশ্রদ্ধ সালাম।