বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরো গভীরভাবে কাজ করার সুযোগ আছে



যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না, বরং সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো ভাবে কাজ করার সুযোগ আছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম।

রবিবার (৮ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে দুই দেশের সম্পর্কে কোনও পরিবর্তন হবে না। আমরা মনে করি, কিছু কমন গ্রাউন্ডে আরও গভীরভাবে কাজ করার সুযোগ হবে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, মুক্তবাণিজ্য ইত্যাদি ইস্যুতে আমাদের যে প্রত্যাশা সেই অনুযায়ী নতুন প্রশাসন কাজ করবে।’

যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বড় অর্থনীতি ও ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিষয়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্র আরও কার্যকর ভাবে সম্পৃক্ত হবে এবং আমার মনে হয়, এই নির্বাচনের মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত হয়েছে। আমার মনে হয় এটি আশাপ্রদ উন্নয়ন।’

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভিনন্দন বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বিশেষভাবে কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়া দুই জনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অবাধ প্রবেশাধিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি কোনও ধরনের শুল্ক বা অশুল্ক বাধা দিয়ে আটকে রাখার ক্ষমতা নেই। আমরা যে দক্ষতা ও মূল্যের যে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ও পণ্যের মান যে জায়গায় পৌঁছেছে, সেটিতে আমরা আত্নবিশ্বাসী। বিশ্ববাজারে এটি যেন বৈষম্যের শিকার না হয়, সেটি আমাদের প্রত্যাশা থাকবে।’