ব্রাজিল থেকে চারশ কোটি টাকার নিম্নমানের গম আমদানির অভিযোগ দুদককে দিয়ে তদন্তের আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী পাভেল মিয়া বাদী হয়ে এ রিট আবেদনটি করেছেন। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চে মঙ্গলবার এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ব্রাজিল থেকে গম আমদানির পর তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। নিম্নমানের গমের সচিত্র প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করা হয়েছে। রিট আবেদনে মানহীন গম আমদানি ও সরবরাহ করা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের কাছে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই গম বিএসটিআই ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে পরীক্ষার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আদালতের কাছে।
পরীক্ষায় গম মানসম্মত নয় প্রমাণিত হলে আমদানিতে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না- তা দুদককে দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী। তিনি জানান, খাদ্য সচিব, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ৪০০ কোটি টাকার দুই লাখ টন নষ্ট ও পচা গম নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতর লুকোচুরি করছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেয়ার পরও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। পুলিশ, বিজিবি, আনসার, জেলখানা, ডিলার ও আটা কল ছাড়াও টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিখাসহ (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) বিভিন্ন কর্মসূচিতে ওই গম বিতরণ করা হচ্ছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পচা গম আমদানির অভিযোগ উঠার পর খাদ্যমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবি ওঠে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের মান নিয়ে খাদ্য অধিদফতর থেকে আপত্তি তোলা হয়েছিল। ব্রাজিলের কৃষি মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো বিভাগের মান নিয়ে কোনো সনদ দেয়নি। বন্দরে অবস্থানকারী খাদ্য অধিদফতরের রসায়নবিদরা এ গমের বেশ কয়েকটি চালানকে বি ক্যাটাগরির বা মাঝারি থেকে নিম্নমানের হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
এসব জেনেও খাদ্য অধিদফতরের তৎকালীন মহাপরিচালক সারোয়ার খান চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ওই গমের ছাড়পত্র দেয়ার নির্দেশ দেন। অধিদফতরের আমদানি-সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতামত, চিঠি ও পর্যালোচনা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ গম আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর রেশন হিসেবে সরবরাহের পর এর মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পুলিশের সব বিভাগীয় কার্যালয় এ গমকে নিুমানের এবং খাওয়ার অযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করে একাধিকবার চিঠি দেয়। তারপরও খাদ্য মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই বারবার বলছে, এ গম অখাদ্য নয়। এরপর সংসদে এক বিবৃতিতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, এটা আমরা আর আনব না। এ গম দেখতেই খারাপ লাগছে। তবে ওই গম পচা নয় দাবি করে রোববার তিনি সংসদে বলেন, এ গম সম্পূর্ণ খাবার উপযোগী। খাদ্য অধিদফতর ও সায়েন্স ল্যাবরেটরির (বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ) পরীক্ষায় এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। গমের মান নিয়ে আমি স্যাটিসফাইড।
সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ব্রাজিল থেকে গম আমদানির পর তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। নিম্নমানের গমের সচিত্র প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করা হয়েছে। রিট আবেদনে মানহীন গম আমদানি ও সরবরাহ করা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের কাছে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই গম বিএসটিআই ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে পরীক্ষার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আদালতের কাছে।
পরীক্ষায় গম মানসম্মত নয় প্রমাণিত হলে আমদানিতে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না- তা দুদককে দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী। তিনি জানান, খাদ্য সচিব, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ৪০০ কোটি টাকার দুই লাখ টন নষ্ট ও পচা গম নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতর লুকোচুরি করছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেয়ার পরও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। পুলিশ, বিজিবি, আনসার, জেলখানা, ডিলার ও আটা কল ছাড়াও টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিখাসহ (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) বিভিন্ন কর্মসূচিতে ওই গম বিতরণ করা হচ্ছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পচা গম আমদানির অভিযোগ উঠার পর খাদ্যমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবি ওঠে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের মান নিয়ে খাদ্য অধিদফতর থেকে আপত্তি তোলা হয়েছিল। ব্রাজিলের কৃষি মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো বিভাগের মান নিয়ে কোনো সনদ দেয়নি। বন্দরে অবস্থানকারী খাদ্য অধিদফতরের রসায়নবিদরা এ গমের বেশ কয়েকটি চালানকে বি ক্যাটাগরির বা মাঝারি থেকে নিম্নমানের হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
এসব জেনেও খাদ্য অধিদফতরের তৎকালীন মহাপরিচালক সারোয়ার খান চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ওই গমের ছাড়পত্র দেয়ার নির্দেশ দেন। অধিদফতরের আমদানি-সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতামত, চিঠি ও পর্যালোচনা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ গম আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর রেশন হিসেবে সরবরাহের পর এর মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পুলিশের সব বিভাগীয় কার্যালয় এ গমকে নিুমানের এবং খাওয়ার অযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করে একাধিকবার চিঠি দেয়। তারপরও খাদ্য মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই বারবার বলছে, এ গম অখাদ্য নয়। এরপর সংসদে এক বিবৃতিতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, এটা আমরা আর আনব না। এ গম দেখতেই খারাপ লাগছে। তবে ওই গম পচা নয় দাবি করে রোববার তিনি সংসদে বলেন, এ গম সম্পূর্ণ খাবার উপযোগী। খাদ্য অধিদফতর ও সায়েন্স ল্যাবরেটরির (বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ) পরীক্ষায় এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। গমের মান নিয়ে আমি স্যাটিসফাইড।