বিগত বছরের যে কোনো সময়ের চেয়ে দেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে। এ ছাড়া বেড়ে চলেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সও। বিলাসীপণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে ডলারসংকট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, প্রায় তিন মাস পর সামগ্রিকভাবে ব্যাংকগুলোর ডলার ধারণের সীমা নেট ওপেন পজিশন লিমিট (এনওপি) ইতিবাচক ধারায় এসেছে। গত সপ্তাহে এনওপি দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ডলার।
সাম্প্রতিক সময়ে এনওপি সর্বোচ্চ ৫১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার ঋণাত্মক হয় গত ৩০ নভেম্বর। গত সপ্তাহের সোমবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩৩ কোটি ডলার। কিছু দিন আগেও যা ২০০ কোটি ডলারের সামান্য বেশি ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলার সরবরাহে উন্নতি হওয়ায় এলসি খোলা বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে গত সোমবার ব্যাংকগুলোতে মোট ২ হাজার ২০০ এলসি খোলা হয়েছে। এখন দৈনিক গড়ে এলসি খোলা হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার।
দুই মাস আগেও যা ১ হাজারের ঘরে নেমে এসেছিল। এছাড়া আইএমএফের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই অর্থ।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে আশাবাদ দেখছে আইএমএফ। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হবে ৭ হাজার ৫৮ কোটি মার্কিন ডলার, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৬৯০ কোটি ডলার। গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করার পর বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক সম্পর্কে যে প্রাক্কলন করেছে, তাতে এ তথ্য ওঠে এসেছে।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড