নিরাপত্তা টহল, অস্থায়ী ক্যাম্প পরিচালনা, সীমানা নিরাপত্তাসহ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রমের পাশাপাশি যুদ্ধপীড়িত দক্ষিণ সুদানের নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীরা। দক্ষিণ সুদানের ব্যানব্যাট ৬-এর (আনমিস) দুটি স্কোয়াডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ নারী এই মিশনে অংশ নিয়েছেন।
লিঙ্গ সমস্যার কার্যকর মোকাবিলার জন্য ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যানব্যাটে নারী সৈনিকদের অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দেশটির প্রত্যন্ত এলাকার নারীদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তাদের প্রাণ রক্ষাকারী ওষুধসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে আসছেন তারা।
নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গবৈষম্য, শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সেমিনার করা হচ্ছে। এতে দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নারী শান্তিরক্ষীদের আন্তরিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিশ্বের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোয় শান্তি স্থাপনের বৈশ্বিক প্রচেষ্টার সম্মানিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সুনাম অনেক আগে থেকেই রয়েছে। এবার যোগ হয়েছে বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীদের নাম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে আনমিস, এসআরএসজি, ফোর্স কমান্ডার এবং ডেপুটি ফোর্স কমান্ডারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও তাদের পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। দক্ষিণ সুদানের যুদ্ধক্লান্ত ও বিপর্যস্ত সমাজে যেভাবে নারী ও শিশুরাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীরা তাদের জন্য আশীর্বাদ বলছেন স্থানীয়রা।
দক্ষিণ সুদানের যুদ্ধাপীড়িত নারী ও শিশুদের পাশে থেকে নির্ভয়ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশের নারী শান্তি রক্ষীরা উল্লেখ করে দেশটির রকরকডং পায়াম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বলেন, তাদের (দক্ষিণ সুদানের যুদ্ধপীড়িত নারী ও শিশুদের) কাছে আস্থা এবং ভরসার আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছেন নারী শান্তিরক্ষীরা। দীর্ঘ যুদ্ধের ভয়াবহতা ও নির্মমতা নব্য প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ সুদানের আপামর জনগণের জীবন ম্লান করে দিয়েছিল।
এখন তারা বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীদের কাছে প্রাণ খুলে সুখ-দুঃখের কথা বলতে পারছেন। নারী শান্তিরক্ষীরাও আগ্রহ ভরে তাদের সমস্যা শুনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড