বাংলাদেশ

দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আবারও লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

বাংলাদেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আবারও লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। লেনদেনের পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেই মূল্যসূচক বেড়েছে। বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর।
বাজার পর্যালোচনায় জানা যায়, গতকাল ডিএসইতে লেনদেনকৃত মোট ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৫২টির, কমেছে ৮৬টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টির দর। এতে এই বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৪.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭২৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০.৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৬১.৫০ পয়েন্টে ও বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪৬.৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২৭৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ১৫ ফেব্রুয়ারির পর ডিএসইতে আবারও হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো।
ডিএসইতে লেনদেন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, বাজারকে সব সময় বাজারের নিয়মে চলতে দিতে হবে। এখানে সূচক বাড়বে কমবে, একইভাবে লেনদেনও কমবেশি হবে। তবে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শেয়ার বাজারে সূচক ও লেনদেন বাড়লেই হুজুগে শেয়ার কেনাবেচা করা যাবে না। জেনেবুঝে শেয়ারে বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থনীতির এই অধ্যাপক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গ্রোথ সেক্টরের ভালো কোম্পানি, ভালো ব্যবস্থাপনা, কোম্পানির ভালো আয়ের পাশাপাশি ভালো লভ্যাংশ দেয়—এমন কোম্পানিতে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করতে হবে। তাহলে শেয়ার ব্যবসায় ভালো করা যাবে। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারে টানা দরপতন রোধে সর্বশেষ গত ২৪ এপ্রিল শেয়ারের দাম কমার নতুন সীমা বেঁধে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এক দিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের মূল্য সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে। এর চেয়ে কম মূল্যে কেউ শেয়ার বিক্রি বা কিনতে পারবে না।  এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস