কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সমন্বয়ক রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের হত্যাকারীদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অবস্থান ও মৌন মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষকরা অবস্থান নেন।
এ সময় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. বিজয় মোহন চাকী, সাধারণ সম্পাদক আসাদ মন্ডল, শিক্ষক মতিউর রহমান, ড. তুহিন ওয়াদুদ, উমর ফারুক, শাহীনুর রহমান, আপেল মাহমুদ, তাবিউর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
এদিকে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের গায়েবি জানাজা শেষে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। এদিন দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-কুড়িগ্রাম সড়কে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরীর মর্ডান মোড় অবস্থান নেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই মরলো কেনো, জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘প্রশাসন এর কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি, চলবে না, চলবে না ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ১ নং গেট কে শহীদ আবু সাঈদ গেট নামকরণের দাবি জানান।
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষক উমর ফারুক বলেন, আবু সাঈদ নিরস্ত্র ছিল, তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারতো, লাঠিচার্জ করতে পারত। সে আত্মসমর্পণ করেছে। এরপরও তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়েছে। আমি মনে করি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং এর পেছনে উপরের নির্দেশ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আমি আবু সাঈদের বৃদ্ধ, জীর্ন, শীর্ণ বিত্তহীন বাবাকে দেখেছি। তার টাকাতে পুলিশের ওই পোশাক, অস্ত্র, রাবার বুলেট কেনা হয়েছে। আমি দেশের সব শিক্ষকদের অনুরোধ করবো, আপনার মাথা নিচু না করে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ান। আপনাদের মেরুদণ্ড সোজা না হলে জাতি মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়বে। আমরা সেই জাতিকে দেখতে চাই না। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. বিজয় মোহন চাকী বলেন, আমরা সবাই ট্রমাটাইজ হয়ে পড়েছি। সুষ্ঠুভাবে চিন্তার অবস্থা আমাদের নেই। আমরা নির্বাহী কমিটির সভা ডেকে আগামী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করব। এরপর শিক্ষকদের একটি মৌন মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষক উমর ফারুক বলেন, আবু সাঈদ নিরস্ত্র ছিল, তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারতো, লাঠিচার্জ করতে পারত। সে আত্মসমর্পণ করেছে। এরপরও তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়েছে। আমি মনে করি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং এর পেছনে উপরের নির্দেশ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আমি আবু সাঈদের বৃদ্ধ, জীর্ন, শীর্ণ বিত্তহীন বাবাকে দেখেছি। তার টাকাতে পুলিশের ওই পোশাক, অস্ত্র, রাবার বুলেট কেনা হয়েছে। আমি দেশের সব শিক্ষকদের অনুরোধ করবো, আপনার মাথা নিচু না করে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ান। আপনাদের মেরুদণ্ড সোজা না হলে জাতি মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়বে। আমরা সেই জাতিকে দেখতে চাই না। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. বিজয় মোহন চাকী বলেন, আমরা সবাই ট্রমাটাইজ হয়ে পড়েছি। সুষ্ঠুভাবে চিন্তার অবস্থা আমাদের নেই। আমরা নির্বাহী কমিটির সভা ডেকে আগামী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করব। এরপর শিক্ষকদের একটি মৌন মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস