নির্বাসিত প্রবাসজীবন কাটিয়ে ছয় বছর পর দেশে ফেরা সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছেন, তিনি চান শেখ হাসিনা (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) বেঁচে থাকুক। বেঁচে থাকাকেই তার শাস্তি বলে মনে করেন তিনি। রোববার (১৮ আগস্ট) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর এই মন্তব্য করেন শফিক রেহমান।
এর আগে রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে লন্ডন থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শফিক রেহমান। শফিক রেহমানকে বিমানবন্দরে করতালি ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিক নেতা এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। দেশবাসীকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা জানিয়ে শফিক রেহমান বলেন, ‘আমি মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। আমি কারও প্রাণহানি চাই না। কোনো সহিংসতা নয়, সবাইকে ভালবাসুন।
ব্যাক্তি পূজা বিষয়ে শফিক রেহমান বলেন, ব্যাক্তি পূজা বন্ধ করুন। ব্যাক্তি পূজা ইসলাম ধর্মের বিরোধী। দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এটা বিপ্লবী সরকার, এখানে এখন বিপ্লবী আইন চলছে। সে আইনে দুই মাসের ভিতরে বিচার করতে হবে। কিউবার ইতিহাস আপনারা পড়েন, তাহলে জানতে পারবেন।’ নতুন সরকারের কাছে চাওয়া সম্পর্কে শফিক রেহমান বলেন, ‘সবার চাকরি হতে হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।’ ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নিহত হওয়া সম্পর্কে এই সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, ‘এবারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে।’ প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে 'অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের' মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর।
এর আগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলাটি করেছিলেন পুলিশের একজন কর্মকর্তা। ওই মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শফিক রেহমান। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে তাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এর আগে রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে লন্ডন থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শফিক রেহমান। শফিক রেহমানকে বিমানবন্দরে করতালি ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিক নেতা এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। দেশবাসীকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা জানিয়ে শফিক রেহমান বলেন, ‘আমি মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। আমি কারও প্রাণহানি চাই না। কোনো সহিংসতা নয়, সবাইকে ভালবাসুন।
ব্যাক্তি পূজা বিষয়ে শফিক রেহমান বলেন, ব্যাক্তি পূজা বন্ধ করুন। ব্যাক্তি পূজা ইসলাম ধর্মের বিরোধী। দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এটা বিপ্লবী সরকার, এখানে এখন বিপ্লবী আইন চলছে। সে আইনে দুই মাসের ভিতরে বিচার করতে হবে। কিউবার ইতিহাস আপনারা পড়েন, তাহলে জানতে পারবেন।’ নতুন সরকারের কাছে চাওয়া সম্পর্কে শফিক রেহমান বলেন, ‘সবার চাকরি হতে হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।’ ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নিহত হওয়া সম্পর্কে এই সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, ‘এবারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে।’ প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে 'অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের' মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর।
এর আগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলাটি করেছিলেন পুলিশের একজন কর্মকর্তা। ওই মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শফিক রেহমান। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে তাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস