ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা ব্যানার্জি দ্বিতীয় দফায় আগামী শুক্রবার যে শপথ গ্রহণ করবেন, সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে কলকাতায় সেই অনুষ্ঠানে না-যেতে পারলেও তার মন্ত্রিসভার এক বা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে সেখানে পাঠাবেন বলে স্থির করেছেন।
গত ১৯ মে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরেছিল মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস।
সে দিন দুপুরেই নিজের বাসভবনে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্য তিনি যে সাংবাদিক সম্মেলন করেন, সেখানেই মিস ব্যানার্জি বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রিত্বের এই মেয়াদে তিনি প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরো বন্ধুত্বপূর্ণ করে তুলতে চান।
তার সেই মন্তব্যকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছিল কারণ এর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জি নিজেই ছিলেন প্রধান বাধা।
ফলে বিপুল ব্যবধানে জিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই তিনি যখন প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বলেছিলেন, পর্যবেক্ষকরা সেটাকে তিস্তা চুক্তির জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত বলেই মনে করেছিলেন।
মমতা ব্যানার্জি অবশ্য শুধু মুখের কথাতেই থেমে থাকেননি – পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যে দুটি দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত আছে, সেই ভুটান ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এর পরই তিনি নিজে ফোন করে তার শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানান।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে সঙ্গে সঙ্গে সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং নিজেই টুইট করে জানিয়ে দেন ‘আগামী ২৭ মে কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সরাসরি অভিনন্দন জানানোর জন্র অপেক্ষা করে আছি’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় অবশ্য ফোন পেয়ে একটু বিড়ম্বনায় পড়ে যায় – কারণ ওই দিনেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী আছে।
তবে মমতা ব্যানার্জির টেলিফোন পেয়ে শেখ হাসিনাও খুবই খুশি হয়েছেন এবং তাকে কথা দিয়েছেন শুক্রবারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অবশ্যই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা নিজে আসতে না-পারলেও তার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ কোনো সদস্যকে কলকাতার ওই অনুষ্ঠানে পাঠাবেন।
ঠিক দু’বছর আগে ২০১৪ সালের ২৬ মে বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তিনিও প্রতিবেশী সার্কভুক্ত সব দেশের প্রেসিডেন্ট বা সরকারপ্রধানকে তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
তার সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পর্যন্ত দিল্লিতে এসেছিলেন, তবে আগে থেকে জাপান সফর স্থির থাকায় শেখ হাসিনা সেবার দিল্লিতে আসতে পারেননি – পাঠিয়েছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীকে।
মমতা ব্যানার্জির দ্বিতীয় দফার মুখ্যমন্ত্রিত্বের শুরুতেই শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার এবারও আসা হচ্ছে না – তবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বন্ধুত্বের নতুন ইনিংস ওপেনিংয়ের কাজটা অবশ্য শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে কলকাতায় সেই অনুষ্ঠানে না-যেতে পারলেও তার মন্ত্রিসভার এক বা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে সেখানে পাঠাবেন বলে স্থির করেছেন।
গত ১৯ মে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরেছিল মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস।
সে দিন দুপুরেই নিজের বাসভবনে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্য তিনি যে সাংবাদিক সম্মেলন করেন, সেখানেই মিস ব্যানার্জি বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রিত্বের এই মেয়াদে তিনি প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরো বন্ধুত্বপূর্ণ করে তুলতে চান।
তার সেই মন্তব্যকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছিল কারণ এর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জি নিজেই ছিলেন প্রধান বাধা।
ফলে বিপুল ব্যবধানে জিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই তিনি যখন প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বলেছিলেন, পর্যবেক্ষকরা সেটাকে তিস্তা চুক্তির জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত বলেই মনে করেছিলেন।
মমতা ব্যানার্জি অবশ্য শুধু মুখের কথাতেই থেমে থাকেননি – পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যে দুটি দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত আছে, সেই ভুটান ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এর পরই তিনি নিজে ফোন করে তার শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানান।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে সঙ্গে সঙ্গে সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং নিজেই টুইট করে জানিয়ে দেন ‘আগামী ২৭ মে কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সরাসরি অভিনন্দন জানানোর জন্র অপেক্ষা করে আছি’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় অবশ্য ফোন পেয়ে একটু বিড়ম্বনায় পড়ে যায় – কারণ ওই দিনেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী আছে।
তবে মমতা ব্যানার্জির টেলিফোন পেয়ে শেখ হাসিনাও খুবই খুশি হয়েছেন এবং তাকে কথা দিয়েছেন শুক্রবারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অবশ্যই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা নিজে আসতে না-পারলেও তার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ কোনো সদস্যকে কলকাতার ওই অনুষ্ঠানে পাঠাবেন।
ঠিক দু’বছর আগে ২০১৪ সালের ২৬ মে বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তিনিও প্রতিবেশী সার্কভুক্ত সব দেশের প্রেসিডেন্ট বা সরকারপ্রধানকে তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
তার সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পর্যন্ত দিল্লিতে এসেছিলেন, তবে আগে থেকে জাপান সফর স্থির থাকায় শেখ হাসিনা সেবার দিল্লিতে আসতে পারেননি – পাঠিয়েছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীকে।
মমতা ব্যানার্জির দ্বিতীয় দফার মুখ্যমন্ত্রিত্বের শুরুতেই শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার এবারও আসা হচ্ছে না – তবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বন্ধুত্বের নতুন ইনিংস ওপেনিংয়ের কাজটা অবশ্য শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে।