বাংলাদেশ

বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট ঘোষণা

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত এই বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এ নিয়ে টানা আটবার বাজেট ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। তবে সবমিলিয়ে তিনি ১০ বার বাজেট উপস্থাপন করলেন।
বাজেটের ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা আসবে অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন থেকে। অবশিষ্ট ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা বাজেট ঘাটতি হিসেবে থাকবে। এ ঘাটতি মোট জিডিপি'র ৫.০ শতাংশ।
ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক উৎস হতে ৩৬ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা (জিডিপি'র ১.৯ শতাংশ) এবং অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ৬১ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা (জিডিপি'র ৩.১ শতাংশ)।
চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। মোট বাজেটের পরিমাণ ছিলো ২ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা।

আগের অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এবারের বাজেট গতবছরের তুলনায় আকারে সাড়ে ১৫ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৯ শতাংশ বড়।
প্রস্তাবিত ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেটের ২৮ দশমিক ৭৩ শতাংশই ঘাটতি দেখানো হয়েছে যা বাজেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের সমান।
২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৭ কোটি টাকা। উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় হবে ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৯ হাজার ৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২৬ হাজার ৮৪৭ কোটি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২২ হাজার ১৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়।
যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৩৪ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
নতুন অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সীমা আগের বছরের মতোই থাকছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, নারী ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সীমা ৩ লাখ টাকা।
বাজেটে কর আদায়ের জন্য মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের ওপর সবচেয়ে জোর দেয়া হয়েছে। এই খাত থেকে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। আয়কর ও মুনাফা কর ধরা হয়েছে ৭১ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।
তবে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইনটি এ বছর থেকে কার্যকর করার কথা আগে বলা হলেও, অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে।
প্রতি বছরের ৩০ অক্টোবর কর দিবস ঘোষণা করে, ওই দিনের মধ্যে আয়কর বিবরণী দাখিলের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ওই তারিখের পর বিবরণী দাখিলের আর কোনো সময় বাড়ানো হবে না।