গত ৫০ বছরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীনের সাফল্যের প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, চীন তার জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের রূপান্তরে সহায়তা করবে।
চীনের গণমাধ্যম সিজিটিএন-কে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এই আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। গত শনিবার ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়।
সাক্ষাৎকারে চাইনিজ হাসপাতালগুলোর প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ চীনের স্বাস্থ্যসেবা পেতে চায়। এটা হলে তারা অনেক খুশি হবে। তাছাড়াও, স্বাস্থ্যখাতে চাইনিজ টেকনোলজি থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু পাওয়ার আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যুব সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশকে রূপান্তরে সহায়তা করতে পারে চীন। আমাদের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর বয়স ২৭ বছরের মধ্যে। সুতরাং তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি হতে পারে।
চাইনিজ সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে চাইনিজ সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র স্থাপনে চীন সহায়তা করতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ চাইনিজ ভাষা ও সংস্কৃতি জানতে পারবে। এতে করে দুই দেশের জনগণের মধ্যে আরও গভীর সম্পর্ক স্থাপিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শান্তিই একমাত্র সমাধান, যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধের কোনো প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, গত ২৬ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস দক্ষিণ চীনের হাইনান দ্বীপ প্রদেশে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি বেইজিং সফর করেন। এটি প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর ছিল।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস