বাংলাদেশ

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আবারও চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা, বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা

দীর্ঘ ১৬ বছর পর প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য পুরনো নিয়মে বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে সরকার। ২০২৫ সাল থেকেই ডিসেম্বর মাসের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে আলাদাভাবে এ বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ বৃত্তির অর্থ বাড়ানোর পাশাপাশি বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির প্রস্তাবও রয়েছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন আনতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু হলে বন্ধ হয়ে যায় পঞ্চম শ্রেণির আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা। তবে নতুন করে সেই পরীক্ষাই আবার চালু করার পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষক সমাজ এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এবং এর মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হবে বলে আশা করছেন। ২০২২ সালে পিইসি পরীক্ষা স্থায়ীভাবে বাতিল হলে বৃত্তি ব্যবস্থাও স্থগিত হয়ে পড়ে। তবে ওই বছরের শেষ দিকে হঠাৎ করেই বৃত্তি পরীক্ষা ফের চালুর ঘোষণা আসে। যদিও সে সময় শিক্ষাবিদদের অনেকে এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং সমালোচনাও করেন, প্রশাসন তাতে কর্ণপাত না করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অটল থাকে। ঘোষণার পরই ২০২২ সালে আয়োজিত হয় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। তবে ফল প্রকাশে নানা গড়মিল দেখা দেওয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ভুল সংশোধনের পর পুনরায় ফল প্রকাশ করতে হয়। ২০২৩ সালেও পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। আপনি চাইলে এটিকে আরও সংক্ষিপ্ত বা বিস্তৃতভাবে সাজাতে পারি, কিংবা নির্দিষ্ট কোনো ধরণের পাঠকের উপযোগী করে লিখে দিতে পারি (যেমন সংবাদ পাঠকদের জন্য, শিক্ষকদের জন্য, শিক্ষাবিদদের জন্য ইত্যাদি)।     এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস