হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চোরাচালান রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউস। একইসঙ্গে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে একাধিক আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ, যার ফলে যাত্রী হয়রানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মুহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, বিমানবন্দরে চোরাচালান একটি জাতীয় সমস্যা। তবে আধুনিক প্রযুক্তি, গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয় এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহারের মাধ্যমে এখন কার্যকরভাবে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। কাস্টমস কমিশনার জানান, যাত্রী ব্যাগেজ যাচাইয়ে আধুনিক স্ক্যানার স্থাপন, আগাম তথ্যভিত্তিক ঝুঁকি বিশ্লেষণ এবং পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে চোরাচালানে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “আমরা প্যাসেঞ্জারের ব্যাগেজ ডাটা, ফ্লাইট তথ্য ও পূর্ববর্তী যাত্রা ইতিহাস বিশ্লেষণ করে আগেই শনাক্ত করছি কারা চোরাচালানে জড়িত থাকতে পারে। এমনকি সন্দেহভাজন ব্যক্তি স্ক্যানার পার হলেও নজরদারিতে থাকেন।” ডুবাইসহ বিভিন্ন ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে যাত্রী তথ্য সংগ্রহে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ACI (Advance Cargo Information) প্রযুক্তি। এই তথ্য বিশ্লেষণ করে আগেই গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো হয়, যাতে চোরাচালানকারী যাত্রী বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা যায়। সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় দেখা গেছে, ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, কুরিয়ার সার্ভিস এমনকি কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করেও চোরাচালানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কাস্টমস, এনএসআই, এপিবিএন ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বিত তৎপরতায় এসব চেষ্টাও ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঢাকা কাস্টমস হাউসের তথ্যমতে, গত এক বছরে কেবল শাহজালাল বিমানবন্দর থেকেই প্রায় ১৭০ কেজি স্বর্ণ আটক করা হয়েছে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২০০ কোটি টাকার বেশি। চোরাচালান প্রতিরোধে স্ক্যানিং যন্ত্রপাতি আধুনিকায়ন, ব্লকচেইনভিত্তিক ডাটা নিরাপত্তা এবং AI অ্যানালিটিকস ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা। কমিশনার জাকির হোসেন বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো—বিমানবন্দর হয়ে চোরাচালান সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মুহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, বিমানবন্দরে চোরাচালান একটি জাতীয় সমস্যা। তবে আধুনিক প্রযুক্তি, গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয় এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহারের মাধ্যমে এখন কার্যকরভাবে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। কাস্টমস কমিশনার জানান, যাত্রী ব্যাগেজ যাচাইয়ে আধুনিক স্ক্যানার স্থাপন, আগাম তথ্যভিত্তিক ঝুঁকি বিশ্লেষণ এবং পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে চোরাচালানে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “আমরা প্যাসেঞ্জারের ব্যাগেজ ডাটা, ফ্লাইট তথ্য ও পূর্ববর্তী যাত্রা ইতিহাস বিশ্লেষণ করে আগেই শনাক্ত করছি কারা চোরাচালানে জড়িত থাকতে পারে। এমনকি সন্দেহভাজন ব্যক্তি স্ক্যানার পার হলেও নজরদারিতে থাকেন।” ডুবাইসহ বিভিন্ন ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে যাত্রী তথ্য সংগ্রহে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ACI (Advance Cargo Information) প্রযুক্তি। এই তথ্য বিশ্লেষণ করে আগেই গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো হয়, যাতে চোরাচালানকারী যাত্রী বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা যায়। সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় দেখা গেছে, ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, কুরিয়ার সার্ভিস এমনকি কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করেও চোরাচালানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কাস্টমস, এনএসআই, এপিবিএন ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বিত তৎপরতায় এসব চেষ্টাও ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঢাকা কাস্টমস হাউসের তথ্যমতে, গত এক বছরে কেবল শাহজালাল বিমানবন্দর থেকেই প্রায় ১৭০ কেজি স্বর্ণ আটক করা হয়েছে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২০০ কোটি টাকার বেশি। চোরাচালান প্রতিরোধে স্ক্যানিং যন্ত্রপাতি আধুনিকায়ন, ব্লকচেইনভিত্তিক ডাটা নিরাপত্তা এবং AI অ্যানালিটিকস ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা। কমিশনার জাকির হোসেন বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো—বিমানবন্দর হয়ে চোরাচালান সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস