রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ও কিশোরগঞ্জে ঈদের জামায়াতে জঙ্গি হামলায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে বিদেশিরা। নিরাপত্তাহীনতার কারণে ঢাকায় ঠিক করা পূর্ব নির্ধারিত দুটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আর বাংলাদেশে হচ্ছে না বলে সূত্র জানিয়েছে। এ সম্মেলন দুটির তারিখ ও স্থান আগে থেকেই বাংলাদেশে হবে বলে ঠিক করা ছিল।
সূত্র জানিয়েছে, মানিলন্ডারিং নিয়ে কাজ করা এপিজিএমএল ও ইন্টারনেট সেবা দাতাদের সংগঠনের অ্যাপনিক-৪২ এই সম্মেলন দুটির স্থান ঢাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে এপিজিএমএল এর সম্মেলনটি নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অপর সংস্থাটির সম্মেলন ঢাকায় না হলেও কবে, কোথায় হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি তারা।
সূত্র জানিয়েছে, অবৈধভাবে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধে কাজ করছে দ্য এশিয়া প্যাসিফিক মানি লন্ডারিং গ্রুপ(এপিজিএমএল)। ৪৩টি দেশ আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির সদস্য। সংস্থটির সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে বার্ষিক সভাটি ২৪ থেকে ২৮ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশও এই সংগঠনের সদস্য। মানিলন্ডারিং বিষয়টি দেখভাল করায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ সভার হোস্ট হিসেবে প্রস্তুতি নিয়েছিলো। সভায় একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালাও রাখা হয়েছিল। সেখানে সদস্য রাষ্ট্রের পাশাপাশি পর্যবেক্ষ সংস্থা মিলিয়ে প্রায় ৩০০ বিদেশি অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।
কিন্তু ধারাবাহিক জঙ্গি হামলার পরই ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে তারা। এ পরিস্থিতিতে ১১ জুলাই আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি একটি বিবৃতি দিয়ে এ সভাটি ঢাকায় হচ্ছে না বলে জানিয়েছে। সভাটি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হবে এবং সভার সময় ও সুনির্দিষ্ট স্থান পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংককেও এখনো স্থান সরানোর কারণ জানায়নি এপিজিএমএল।
অপরদিকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের আন্তর্জাতিক সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের সম্মেলন-অ্যাপনিক-৪২ বাতিল করেছে তাদের সম্মেলনের স্থান। এ সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ২০০ বিদেশি এক্সপার্টদেও অংশ নেওয়ার কথা ছিল। এজন্য স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে আয়োজক ছিল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
বাংলাদেশের সংগঠনটি এজন্য দুটি পাঁচ তারকা হোটেলও বুকিং দিয়েছিল সম্মেলনের স্থান হিসেবে।
সংগঠনটির সেক্রেটারি এমদাদুল হক বলেন, সম্মেলনটি ঢাকায় হচ্ছে না। এবারই প্রথম বাংলাদেশে এই সম্মেলনটি হওয়ার কথা ছিল। গুলশান হামলার পরে গত ৭ জুলাই রাতে আমরা সিদ্ধান্তটি জানতে পারি। পরে অ্যাপনিক কর্তৃপক্ষ আমাদের ই-মেইলের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, গতবছর এ সম্মেলটি হয়েছিলো ইন্দোনেশিয়ায়। এবার ঢাকায় না হয়ে থাইল্যান্ড বা শ্রীলংকায় হতে পারে সম্মেলনটি।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই ঢাকার অভিজাত ও কূটনৈতিক এলাকা গুলশানের আর্টিজান নামক রেস্তোরাঁয় হামলা করেছে জঙ্গিরা। এ হামলায় ইতালী, জাপান, ভারত ও আমেরিকার নাগরিকসহ ২৮ জন নিহত হয়েছে। বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন ১৭ জন। বাকিরা বাংলাদেশি নাগরিক ও হামলাকারি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। হামলার দায় স্বীকার করে বার্তা দিয়েছিলো আইএস। হামলার শুরু থেকে পরেরদিন ভোর পর্যন্ত তাদের দেওয়া তথ্যই অনেকটা হুবহু মিলে যায়।
উদ্ধার অভিযানে হামলাকারী জঙ্গিদের সবাই নিহত হয়। এর রেশ না কাটতেই ঈদের দিন শোলাকিয়ায় ঘটে আরেক হামলা। যদিও শোলাকিয়ার হামলার পূর্বে আইএস ভিডিও বার্তায় বলেছিলো, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এধরনের হামলা আরো হবে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের চলাচলে আরও সতর্ক হতে বলে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি নাগরিকরা তাদের সকল কর্মসূচি বাতিল করে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
সূত্র জানিয়েছে, মানিলন্ডারিং নিয়ে কাজ করা এপিজিএমএল ও ইন্টারনেট সেবা দাতাদের সংগঠনের অ্যাপনিক-৪২ এই সম্মেলন দুটির স্থান ঢাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে এপিজিএমএল এর সম্মেলনটি নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অপর সংস্থাটির সম্মেলন ঢাকায় না হলেও কবে, কোথায় হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি তারা।
সূত্র জানিয়েছে, অবৈধভাবে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধে কাজ করছে দ্য এশিয়া প্যাসিফিক মানি লন্ডারিং গ্রুপ(এপিজিএমএল)। ৪৩টি দেশ আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির সদস্য। সংস্থটির সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে বার্ষিক সভাটি ২৪ থেকে ২৮ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশও এই সংগঠনের সদস্য। মানিলন্ডারিং বিষয়টি দেখভাল করায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ সভার হোস্ট হিসেবে প্রস্তুতি নিয়েছিলো। সভায় একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালাও রাখা হয়েছিল। সেখানে সদস্য রাষ্ট্রের পাশাপাশি পর্যবেক্ষ সংস্থা মিলিয়ে প্রায় ৩০০ বিদেশি অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।
কিন্তু ধারাবাহিক জঙ্গি হামলার পরই ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে তারা। এ পরিস্থিতিতে ১১ জুলাই আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি একটি বিবৃতি দিয়ে এ সভাটি ঢাকায় হচ্ছে না বলে জানিয়েছে। সভাটি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হবে এবং সভার সময় ও সুনির্দিষ্ট স্থান পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংককেও এখনো স্থান সরানোর কারণ জানায়নি এপিজিএমএল।
অপরদিকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের আন্তর্জাতিক সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের সম্মেলন-অ্যাপনিক-৪২ বাতিল করেছে তাদের সম্মেলনের স্থান। এ সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ২০০ বিদেশি এক্সপার্টদেও অংশ নেওয়ার কথা ছিল। এজন্য স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে আয়োজক ছিল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
বাংলাদেশের সংগঠনটি এজন্য দুটি পাঁচ তারকা হোটেলও বুকিং দিয়েছিল সম্মেলনের স্থান হিসেবে।
সংগঠনটির সেক্রেটারি এমদাদুল হক বলেন, সম্মেলনটি ঢাকায় হচ্ছে না। এবারই প্রথম বাংলাদেশে এই সম্মেলনটি হওয়ার কথা ছিল। গুলশান হামলার পরে গত ৭ জুলাই রাতে আমরা সিদ্ধান্তটি জানতে পারি। পরে অ্যাপনিক কর্তৃপক্ষ আমাদের ই-মেইলের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, গতবছর এ সম্মেলটি হয়েছিলো ইন্দোনেশিয়ায়। এবার ঢাকায় না হয়ে থাইল্যান্ড বা শ্রীলংকায় হতে পারে সম্মেলনটি।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই ঢাকার অভিজাত ও কূটনৈতিক এলাকা গুলশানের আর্টিজান নামক রেস্তোরাঁয় হামলা করেছে জঙ্গিরা। এ হামলায় ইতালী, জাপান, ভারত ও আমেরিকার নাগরিকসহ ২৮ জন নিহত হয়েছে। বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন ১৭ জন। বাকিরা বাংলাদেশি নাগরিক ও হামলাকারি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। হামলার দায় স্বীকার করে বার্তা দিয়েছিলো আইএস। হামলার শুরু থেকে পরেরদিন ভোর পর্যন্ত তাদের দেওয়া তথ্যই অনেকটা হুবহু মিলে যায়।
উদ্ধার অভিযানে হামলাকারী জঙ্গিদের সবাই নিহত হয়। এর রেশ না কাটতেই ঈদের দিন শোলাকিয়ায় ঘটে আরেক হামলা। যদিও শোলাকিয়ার হামলার পূর্বে আইএস ভিডিও বার্তায় বলেছিলো, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এধরনের হামলা আরো হবে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের চলাচলে আরও সতর্ক হতে বলে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি নাগরিকরা তাদের সকল কর্মসূচি বাতিল করে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি