বৈজ্ঞানিক তথ্য বিশ্লেষণের ওপর নির্ভর করেই সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সম্মেলন কক্ষে তেল-গ্যাস জাতীয় কমিটি এ কথা জানায়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, ‘সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে তরুণরাই প্রধান শক্তি। প্রশ্নহীন আনুগত্যে অবনত লোভী সন্ত্রাসী আর জঙ্গিবাদের যুগে এই তরুণরাই বাংলাদেশের শক্তি। আমরা আবারও বলি, সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন বৈজ্ঞানিক তথ্য বিশ্লেষণের ওপর ভর করে এবং সামাজিক দায়বোধ থেকে স্বাধীন ও স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন হিসেবে গত কয়েক বছরে বিকশিত হয়েছে। এই আন্দোলন এভাবেই এগিয়ে যাবে। আমরা এখনো আশা করি, এই আন্দোলনকে কলঙ্কিত না করে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতি দায়বোধ থেকে জনগণের স্বার্থ বুঝতে চেষ্টা করবেন এবং মানুষ ও প্রকৃতিবিধ্বংসী প্রকল্প বাতিল করবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রীর দাবির বিপক্ষে নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করে জাতীয় কমিটি। বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, ‘গ্যাসের মজুদ দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে আর গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।’ কিন্তু প্রকৃত তথ্য হলো, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে উত্তোলনযোগ্য ১২ বছরের নিশ্চিত রিজার্ভ ১৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আছে। এই মুহূর্তে দেশের ৬৩ ভাগ অর্থাৎ ৫০৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্যাস দিয়ে উৎপাদিত হচ্ছে। নবায়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিলে প্রায় ১৫০০ মেগাওয়াটের বাড়তি উৎপাদন এখনই করা সম্ভব। বলা হয়, গ্যাসের সম্ভাবনা নষ্টের জন্য দায়ী সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতি।”
জাতীয় কমিটির পক্ষে আনু মুহাম্মদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্ল্যান্ট বসানো হবে এবং এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ১ দশমিক ৬ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক তথ্য বলে, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের তাপমাত্রা এখানকার কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের কারণে বেশ খানিকটা বেড়ে যাবে, যার প্রভাবে সরকারি ভাষ্যমতে ১৪ কিলোমিটার দূরের সুন্দরবনও গরম হয়ে যাবে এবং নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড ১.৬ কিলোমিটারের মধ্যে আটকে রাখা অসম্ভব এবং অবাস্তব’।”
গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের তথ্য উল্লেখ করে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি জানায়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দূষিত বা গরম পানি পশুর নদীতে ফেলা হবে না। কিন্তু পশুর নদীতে যে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি গরম পানি ফেলা হবে সেটা খোদ কোম্পানিরই রিপোর্টে এবং জাইকার একটি রিপোর্টে থার্মাল ইফ্লুয়েন্ট নির্গমনের ফলে পানির তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত বৃদ্ধির এবং এর ফলে মাছের ক্ষতি হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদাহরণ এর প্রসঙ্গ টেনে আজ সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, এই কেন্দ্র পরিচালনা করে আমেরিকান ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি। ২০১৪ সালে ক্লিন ওয়াটার অ্যাক্ট লঙ্ঘন করে পানিতে মাত্রাতিরিক্ত সেলেনিয়াম, মারকারি ও অন্যান্য ভারী ধাতু নির্গমনের দায়ে এই কোম্পানিকে আদালতে অভিযুক্ত করা হয়। রায় অনুযায়ী এই কোম্পানি জরিমানা দিতে রাজি হয় এবং একটি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ও দুটিতে দূষণ কমানোর অঙ্গীকার করে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতাকর্মীরা বড়পুকুরিয়া ও রামপালে যাননি বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করলেও এটিকে শতভাগ ভুল বলে দাবি করেছে জাতীয় কমিটি। কমিটির নেতারা জানান, বড়পুকুরিয়াতে তো বটেই, রামপালেও তাঁরা গেছেন। রামপাল এলাকায় অস্বচ্ছতা, অনিয়ম, জবরদস্তি দিয়ে এলাকার মানুষদের যখন উচ্ছেদ করবার চেষ্টা হচ্ছিল তখন এলাকার মানুষ কৃষিজমি ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করেন। তাঁদের আহ্বানেই জাতীয় কমিটির সদস্যরা প্রথম রামপালে যান ২০১০ সালে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ‘বহু বছরে গড়ে ওঠা আন্দোলনে হঠাৎ করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমর্থন জানানোকে প্রধানমন্ত্রী একটি স্বাধীন জনপ্রিয় আন্দোলনে কালি মাখানোর সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, শুধু বিএনপি নয়, গত ১০ বছরে দেশের দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েরই সমর্থন পাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে। তবে এই ঘটনা ঘটেছে তখনই, যখন দল সরকারের বাইরে থাকে এবং যখন আমাদের আন্দোলনে ব্যাপক জাগরণ তৈরি হয়। ১০ বছর আগে যখন বিএনপি-জামায়াতের সরকার ফুলবাড়ীতে গুলি চালানোর পর মানুষ যখন গণ-অভ্যুত্থানে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন, তখনই আওয়ামী লীগ আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের খরচ জোগানোর প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বলা হয়, ‘ফুলবাড়ী আন্দোলনের প্রতি প্রধানমন্ত্রী যখন সমর্থন জানিয়েছিলেন তখন আমরা যেভাবে খরচ জোগাতাম এখনো আমরা সেভাবেই খরচ জোগাই। এই আন্দোলন জনগণের গায়ে-গতরে, অসংখ্য মানুষের শ্রমে-ঘামে গড়ে তোলা আন্দোলন। যারা দিনরাত পরিশ্রম করে খেয়ে না খেয়ে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেয় তাদেরও চাঁদা দিয়ে অংশ নিতে হয়। ক্ষমতায় থাকা বড় দলগুলোর মতো আমাদের আন্দোলন টাকার ওপর ভর করে না, কারো পৃষ্ঠপোষকতার তোয়াক্কা করে না।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিপু বিশ্বাস, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাইফুল হক, প্রকৌশলী বিডি রহমতউল্লাহ, ড. রেহনুমা আহমেদ, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, অধ্যাপক মোসাহিদা সুলতানা, মোশরেফা মিশু, আজিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মানস নন্দী, তাসলিমা আখতার লিমা, নাসিরউদ্দিন নসু, মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, সাইদা গুলরুখ, সুবল সরকার, মিজানুর রহমান।
সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সম্মেলন কক্ষে তেল-গ্যাস জাতীয় কমিটি এ কথা জানায়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, ‘সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে তরুণরাই প্রধান শক্তি। প্রশ্নহীন আনুগত্যে অবনত লোভী সন্ত্রাসী আর জঙ্গিবাদের যুগে এই তরুণরাই বাংলাদেশের শক্তি। আমরা আবারও বলি, সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন বৈজ্ঞানিক তথ্য বিশ্লেষণের ওপর ভর করে এবং সামাজিক দায়বোধ থেকে স্বাধীন ও স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন হিসেবে গত কয়েক বছরে বিকশিত হয়েছে। এই আন্দোলন এভাবেই এগিয়ে যাবে। আমরা এখনো আশা করি, এই আন্দোলনকে কলঙ্কিত না করে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতি দায়বোধ থেকে জনগণের স্বার্থ বুঝতে চেষ্টা করবেন এবং মানুষ ও প্রকৃতিবিধ্বংসী প্রকল্প বাতিল করবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রীর দাবির বিপক্ষে নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করে জাতীয় কমিটি। বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, ‘গ্যাসের মজুদ দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে আর গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।’ কিন্তু প্রকৃত তথ্য হলো, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে উত্তোলনযোগ্য ১২ বছরের নিশ্চিত রিজার্ভ ১৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আছে। এই মুহূর্তে দেশের ৬৩ ভাগ অর্থাৎ ৫০৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্যাস দিয়ে উৎপাদিত হচ্ছে। নবায়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিলে প্রায় ১৫০০ মেগাওয়াটের বাড়তি উৎপাদন এখনই করা সম্ভব। বলা হয়, গ্যাসের সম্ভাবনা নষ্টের জন্য দায়ী সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতি।”
জাতীয় কমিটির পক্ষে আনু মুহাম্মদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্ল্যান্ট বসানো হবে এবং এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ১ দশমিক ৬ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক তথ্য বলে, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের তাপমাত্রা এখানকার কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের কারণে বেশ খানিকটা বেড়ে যাবে, যার প্রভাবে সরকারি ভাষ্যমতে ১৪ কিলোমিটার দূরের সুন্দরবনও গরম হয়ে যাবে এবং নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড ১.৬ কিলোমিটারের মধ্যে আটকে রাখা অসম্ভব এবং অবাস্তব’।”
গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের তথ্য উল্লেখ করে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি জানায়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দূষিত বা গরম পানি পশুর নদীতে ফেলা হবে না। কিন্তু পশুর নদীতে যে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি গরম পানি ফেলা হবে সেটা খোদ কোম্পানিরই রিপোর্টে এবং জাইকার একটি রিপোর্টে থার্মাল ইফ্লুয়েন্ট নির্গমনের ফলে পানির তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত বৃদ্ধির এবং এর ফলে মাছের ক্ষতি হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদাহরণ এর প্রসঙ্গ টেনে আজ সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, এই কেন্দ্র পরিচালনা করে আমেরিকান ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি। ২০১৪ সালে ক্লিন ওয়াটার অ্যাক্ট লঙ্ঘন করে পানিতে মাত্রাতিরিক্ত সেলেনিয়াম, মারকারি ও অন্যান্য ভারী ধাতু নির্গমনের দায়ে এই কোম্পানিকে আদালতে অভিযুক্ত করা হয়। রায় অনুযায়ী এই কোম্পানি জরিমানা দিতে রাজি হয় এবং একটি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ও দুটিতে দূষণ কমানোর অঙ্গীকার করে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতাকর্মীরা বড়পুকুরিয়া ও রামপালে যাননি বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করলেও এটিকে শতভাগ ভুল বলে দাবি করেছে জাতীয় কমিটি। কমিটির নেতারা জানান, বড়পুকুরিয়াতে তো বটেই, রামপালেও তাঁরা গেছেন। রামপাল এলাকায় অস্বচ্ছতা, অনিয়ম, জবরদস্তি দিয়ে এলাকার মানুষদের যখন উচ্ছেদ করবার চেষ্টা হচ্ছিল তখন এলাকার মানুষ কৃষিজমি ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করেন। তাঁদের আহ্বানেই জাতীয় কমিটির সদস্যরা প্রথম রামপালে যান ২০১০ সালে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ‘বহু বছরে গড়ে ওঠা আন্দোলনে হঠাৎ করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমর্থন জানানোকে প্রধানমন্ত্রী একটি স্বাধীন জনপ্রিয় আন্দোলনে কালি মাখানোর সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, শুধু বিএনপি নয়, গত ১০ বছরে দেশের দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েরই সমর্থন পাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে। তবে এই ঘটনা ঘটেছে তখনই, যখন দল সরকারের বাইরে থাকে এবং যখন আমাদের আন্দোলনে ব্যাপক জাগরণ তৈরি হয়। ১০ বছর আগে যখন বিএনপি-জামায়াতের সরকার ফুলবাড়ীতে গুলি চালানোর পর মানুষ যখন গণ-অভ্যুত্থানে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন, তখনই আওয়ামী লীগ আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের খরচ জোগানোর প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বলা হয়, ‘ফুলবাড়ী আন্দোলনের প্রতি প্রধানমন্ত্রী যখন সমর্থন জানিয়েছিলেন তখন আমরা যেভাবে খরচ জোগাতাম এখনো আমরা সেভাবেই খরচ জোগাই। এই আন্দোলন জনগণের গায়ে-গতরে, অসংখ্য মানুষের শ্রমে-ঘামে গড়ে তোলা আন্দোলন। যারা দিনরাত পরিশ্রম করে খেয়ে না খেয়ে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেয় তাদেরও চাঁদা দিয়ে অংশ নিতে হয়। ক্ষমতায় থাকা বড় দলগুলোর মতো আমাদের আন্দোলন টাকার ওপর ভর করে না, কারো পৃষ্ঠপোষকতার তোয়াক্কা করে না।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিপু বিশ্বাস, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাইফুল হক, প্রকৌশলী বিডি রহমতউল্লাহ, ড. রেহনুমা আহমেদ, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, অধ্যাপক মোসাহিদা সুলতানা, মোশরেফা মিশু, আজিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মানস নন্দী, তাসলিমা আখতার লিমা, নাসিরউদ্দিন নসু, মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, সাইদা গুলরুখ, সুবল সরকার, মিজানুর রহমান।