মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেছেন, ‘আমি হিন্দুদেরকে মালাউনের বাচ্চা বলিনি, নাসিরনগরের একটি মানুষও যদি বলে এবং যদি প্রমাণ দিতে পারে, তাহলে আমি মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করবো।’
রবিবার দুপুর দুইটার দিকে নাসিরনগর উপজেলার আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত কারো কাছ থেকে শুনে বলেছেন, আমি নাকি হিন্দুদের মালাউনের বাচ্চা বলেছি, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারেন, আমি মালাউনের বাচ্চা বলেছি, তাহলে আমি এখনই মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করবো।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, একটি শিশুও বলতে পারবে না যে, আমার নিজ নির্বাচনী এলকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরিবর্তে আমি হিন্দুদের গালিগালাজ করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় উস্কানি দিয়েছি। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক, যা আমার শত্রুপক্ষই ছড়াচ্ছে। আমি মনে করে হিন্দু ভাইবোনদের হেফাজতে যথাযথ ভূমিকা পালনের বদলে নিজেদের মধ্যে একটি মিথ্যা খবরের ভিত্তিতে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করা মানেই ক্ষতিগ্রস্তদের আরো হুমকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের মতো সংগঠন আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে আমাকে অভিযুক্ত করায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত।
তিনি বলেন, আমি ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মন্দির ও ঘরবাড়িতে ঘুরে দেখেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তাও দিয়েছি। এ ঘটনায় প্রশাসনের কোনো ব্যর্থতা ছিল না।
এ সময় হামলাকারীদের মুখোশ উন্মোচনে সাংবাদিকদের প্রশাসনকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে হামলাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে প্রশাসনকে সাহায্য করুন এবং এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করবেন না যাতে হিন্দু ভাই-বোনদের মনে ভীতির সঞ্চার হয়।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেব। তিনি বলেন, মন্ত্রী আমাদের মালাউনের বাচ্চা বলে গালিগলাজ করেননি। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কিছু কুচক্রীমহল মন্ত্রী ছায়েদুল হকের জনপ্রিয়তা ও ইমেজ নষ্ট করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-নাসিরনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল জ্যোতি দত্ত, নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়পারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অরুন জ্যোতি ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
রবিবার দুপুর দুইটার দিকে নাসিরনগর উপজেলার আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত কারো কাছ থেকে শুনে বলেছেন, আমি নাকি হিন্দুদের মালাউনের বাচ্চা বলেছি, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারেন, আমি মালাউনের বাচ্চা বলেছি, তাহলে আমি এখনই মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করবো।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, একটি শিশুও বলতে পারবে না যে, আমার নিজ নির্বাচনী এলকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরিবর্তে আমি হিন্দুদের গালিগালাজ করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় উস্কানি দিয়েছি। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক, যা আমার শত্রুপক্ষই ছড়াচ্ছে। আমি মনে করে হিন্দু ভাইবোনদের হেফাজতে যথাযথ ভূমিকা পালনের বদলে নিজেদের মধ্যে একটি মিথ্যা খবরের ভিত্তিতে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করা মানেই ক্ষতিগ্রস্তদের আরো হুমকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের মতো সংগঠন আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে আমাকে অভিযুক্ত করায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত।
তিনি বলেন, আমি ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মন্দির ও ঘরবাড়িতে ঘুরে দেখেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তাও দিয়েছি। এ ঘটনায় প্রশাসনের কোনো ব্যর্থতা ছিল না।
এ সময় হামলাকারীদের মুখোশ উন্মোচনে সাংবাদিকদের প্রশাসনকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে হামলাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে প্রশাসনকে সাহায্য করুন এবং এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করবেন না যাতে হিন্দু ভাই-বোনদের মনে ভীতির সঞ্চার হয়।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেব। তিনি বলেন, মন্ত্রী আমাদের মালাউনের বাচ্চা বলে গালিগলাজ করেননি। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কিছু কুচক্রীমহল মন্ত্রী ছায়েদুল হকের জনপ্রিয়তা ও ইমেজ নষ্ট করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-নাসিরনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল জ্যোতি দত্ত, নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়পারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অরুন জ্যোতি ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি