ব্রিটেনের অভিবাসী ডিটেনশন সেন্টারে তারেক চৌধুরী নামে ৬৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নাগরিক খুন হয়েছেন। নিহতের গ্রামের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায়।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে গ্রেটার লন্ডনের হিলিংডন এলাকায় অভিবাসীদের ডিটেনশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ হত্যার ঘটনায় জানা আসাদ ইউসিফ নামে ৩১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর বাংলাট্রিভিউনের
নিহতের পরিবার সূত্র জানিয়েছে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকা থেকে ১২ বছর আগে ব্রিটেনে পাড়ি জমিয়েছিলেন তারেক চৌধুরী। তবে সেখানে থাকার জন্য বৈধ নাগরিকত্ব সনদ ছিল না তার। এ কারণে তাকে সম্প্রতি আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার সেখানেই তিনি আকস্মিক হামলার স্বীকার হয়ে হাসপাতালে মারা যান।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেটার লন্ডনের হিলিংডন এলাকায় কোনব্রুক ইমিগ্রেশন রিমুভ্যাল সেন্টারে (অভিবাসীদের ডিটেনশন ও ফেরত পাঠানোর কেন্দ্র) সংঘবদ্ধ আক্রমণের স্বীকার হন তারেক চৌধুরী। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তারেক চৌধুরীকে হারমন্ডসওয়ার্থ এলাকার স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ আরও জানায়, এ হত্যার অভিযোগে ইউসিফসহ আরও দু’জনকে তাৎক্ষণিক ভাবে আটক করা হলেও পরে দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নিহতের বড়ভাই যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম প্রবাসী মহসিন হাবিব জানিয়েছেন, ‘তার ভাইয়ের মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তার গালের হাড় ভেঙে গেছে।’
এদিকে, ব্রিটিশ দৈনিক এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জানা আসাদ ইউসিফকে শনিবার হেনডন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নিহতের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন ডিটেনশন সেন্টারের মতো নিরাপদ স্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে মৃতদেহ পোস্টমর্টেম করতে দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন সলিসিটর আনোয়ার হেসেন।
এলএবাংলাটাইমস/এএল/এলআরটি
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে গ্রেটার লন্ডনের হিলিংডন এলাকায় অভিবাসীদের ডিটেনশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ হত্যার ঘটনায় জানা আসাদ ইউসিফ নামে ৩১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর বাংলাট্রিভিউনের
নিহতের পরিবার সূত্র জানিয়েছে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকা থেকে ১২ বছর আগে ব্রিটেনে পাড়ি জমিয়েছিলেন তারেক চৌধুরী। তবে সেখানে থাকার জন্য বৈধ নাগরিকত্ব সনদ ছিল না তার। এ কারণে তাকে সম্প্রতি আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার সেখানেই তিনি আকস্মিক হামলার স্বীকার হয়ে হাসপাতালে মারা যান।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেটার লন্ডনের হিলিংডন এলাকায় কোনব্রুক ইমিগ্রেশন রিমুভ্যাল সেন্টারে (অভিবাসীদের ডিটেনশন ও ফেরত পাঠানোর কেন্দ্র) সংঘবদ্ধ আক্রমণের স্বীকার হন তারেক চৌধুরী। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তারেক চৌধুরীকে হারমন্ডসওয়ার্থ এলাকার স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ আরও জানায়, এ হত্যার অভিযোগে ইউসিফসহ আরও দু’জনকে তাৎক্ষণিক ভাবে আটক করা হলেও পরে দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নিহতের বড়ভাই যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম প্রবাসী মহসিন হাবিব জানিয়েছেন, ‘তার ভাইয়ের মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তার গালের হাড় ভেঙে গেছে।’
এদিকে, ব্রিটিশ দৈনিক এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জানা আসাদ ইউসিফকে শনিবার হেনডন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নিহতের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন ডিটেনশন সেন্টারের মতো নিরাপদ স্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে মৃতদেহ পোস্টমর্টেম করতে দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন সলিসিটর আনোয়ার হেসেন।
এলএবাংলাটাইমস/এএল/এলআরটি