বাংলাদেশ

দলীয় লোক দিয়ে ইসি গঠন করলে জনগণ মানবে না : খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দলীয় লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করলে জনগণ মানবে না। আশা করি রাষ্ট্রপতি সবার সিদ্ধান্তকে বিচার করে নিরপেক্ষ লোক দিয়ে ইসি নিয়োগ দেবেন। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই বিএনপির লক্ষ্য। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

শনিবার রাতে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। জিয়া পরিষদের প্রতিনিধি সম্মেলন উপলক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ মানেই গণতন্ত্র হত্যাকারী, আওয়ামী লীগ মানেই গুম-খুন, লুটপাট। আওয়ামী লীগের দেশের জন্য কোন মায়া নাই। শেখ হাসিনারও মায়া নাই। দেশের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করছে। আওয়ামী লীগের অধীনে দেশের মানুষ ভালো থাকতে পারে না। কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই। দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করছে। ফলে কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করতে পারছে না।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মঈনউদ্দিন -ফকরুদ্দিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তারপরে সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচনের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতা দখল করে আছে। স্বৈরাচারী এরশাদ ও আওয়ামী লীগ এক হয়ে গণতন্ত্র হত্যা করছে। শেখ হাসিনা এরশাদের মামলা বন্ধ করে আমারসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন,  হতাশ হওয়ার কিছু নাই। গণতন্ত্র ফিরে আসবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এর জন্য সবাইকে কষ্ট করতে হবে। আমরা যার যার অবস্থান থেকে এ স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলি, আওয়াজ তুলি।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ।

এছাড়া মত বিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবির মুরাদ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব প্রফেসর  ড. এমতাজ হোসেন ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ, অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, দেওয়ান মাহফুজুর রহমান ফরহাদ, আবদুল্লাহিল মাসুদ, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি