২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
রবিবার দুপুরে সেগুনবাগিচার স্বাধীনতা হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
শাজাহান খান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিশ্বের গণহত্যার ইতিহাসের এক উদাহরণযোগ্য স্মরণীয় দিন। ওই রাতে পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী কাপুরুষের মত রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত বাঙালি জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার নির্দেশে, জেনারেল টিক্কা খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে সামরিক অভিযান চালায়, যা ইতিহাসের জঘন্য ও নৃশংসতম নির্মম গণহত্যা। তাই অন্য যে কোন দিনের চেয়ে এই দিনটি শুধু বাঙ্গালি জাতির কাছেই নয়। এটা ছিল বিশ্ব সভ্যতার জন্য এক কলংকজনক জঘন্যতম গণহত্যার সূচনা মাত্র। ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে ৩০ লাখ নিরপরাধ নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা সৃষ্টি করেছিল সেই বর্বর ইতিহাস, যা নিষ্ঠুরতা ও সংখ্যার দিক দিয়ে ১৯৩৩-৪৫ সালে ইহুদী হলোকাস্ট ও ১৯৪৪ সালে রুয়ান্ডার গণহত্যাকেও অতিক্রম করে গেছে। তাদের সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ ,লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ সবই ১৯৪৮ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ শীর্ষক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে বর্ণিত সংজ্ঞায় গণহত্যার চূড়ান্ত উদাহরণ।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা ও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগে নেয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা ও শ্রমিক নেতা আলাউদ্দিন, আবদুল জলিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
রবিবার দুপুরে সেগুনবাগিচার স্বাধীনতা হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
শাজাহান খান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিশ্বের গণহত্যার ইতিহাসের এক উদাহরণযোগ্য স্মরণীয় দিন। ওই রাতে পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী কাপুরুষের মত রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত বাঙালি জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার নির্দেশে, জেনারেল টিক্কা খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে সামরিক অভিযান চালায়, যা ইতিহাসের জঘন্য ও নৃশংসতম নির্মম গণহত্যা। তাই অন্য যে কোন দিনের চেয়ে এই দিনটি শুধু বাঙ্গালি জাতির কাছেই নয়। এটা ছিল বিশ্ব সভ্যতার জন্য এক কলংকজনক জঘন্যতম গণহত্যার সূচনা মাত্র। ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে ৩০ লাখ নিরপরাধ নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা সৃষ্টি করেছিল সেই বর্বর ইতিহাস, যা নিষ্ঠুরতা ও সংখ্যার দিক দিয়ে ১৯৩৩-৪৫ সালে ইহুদী হলোকাস্ট ও ১৯৪৪ সালে রুয়ান্ডার গণহত্যাকেও অতিক্রম করে গেছে। তাদের সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ ,লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ সবই ১৯৪৮ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ শীর্ষক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে বর্ণিত সংজ্ঞায় গণহত্যার চূড়ান্ত উদাহরণ।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা ও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগে নেয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা ও শ্রমিক নেতা আলাউদ্দিন, আবদুল জলিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি