এ যেন আরেক খাদিজা! আর এ যেন নরপশু আরেক বদরুল! সিলেটের সেই রোমহর্ষক ঘটনার মতোই আরেকটি ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে। সিলেটে কলেজ ছাত্রী খাদিজাকে যেভাবে প্রকাশ্য এলোপাতাড়ি কুপিয়েছিল বদরুল নামের এক নরপশু। তেমনই শুধুমাত্র প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বাড়িতে ঢুকে নাহিদা আক্তার নামের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীকে নিষ্ঠুরভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে আরেক নরপশু জাহেদুল ইসলাম।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মহেশখালীর আরেক অপরাধের জনপদ কালারমারছড়ায় ওই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর মাদ্রাসা ছাত্রী নাহিদা আকতারকে (১৫) কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও গত দুইদিন ধরে সে অচেতন অবস্থায় রয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন, সিলেটের খাদিজার ঘটনার চাইতেও নিষ্ঠুর ও মর্মান্তিক মহেশখালীর এই নাহিদা আকতারের উপর চালানো নিষ্ঠুরতা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাহিদা আকতারকে মুখে, মাথায়, হাতে, বুকে ও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে।
মহেশখালীর একাধিক স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন, কালারমারছড়া ইউনিয়নের কালারমারছড়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ও ফকিরজুম পাড়ার মোহাম্মদ হোছাইনের মেয়ে নাহিদা আক্তারকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল হোয়ানক ইউনিয়নের পুর্ব হরিয়ারছড়া এলাকার মৌলভী লোকমান হাকিমের ছেলে ‘বখাটে’ জাহেদুল ইসলাম। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই গত শনিবার বিকালে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং নাহিদাকে ধারালো কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্র মতে, কিশোরী নাহিদার শরীরে ১০ থেকে ১২টি কিরিচের কোপ লেগেছে। মুখে ও কপালে দুইটি গভীর কোপ লাগে।
সূত্র জানান, রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু নাহিদাকে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসাপাতালে পাঠিয়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সে বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুলতান আহামদ সিরাজী সাংবাদিকদের জানান, নাহিদার মুখের ও কপালের কোপ অত্যন্ত মারাত্মক। অন্য আঘাতগুলোও কম নয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে মহেশখালীর এই ঘটনা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে মহেশখালীজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পরে ওই আলোচনা দেশজুড়ে ছড়িয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাহিদা আকতার ও নির্যাতনকারী জাহেদুল ইসলামের ছবি তুলে ধরে নরপশু জাহেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও শুরু হয়েছে।
সাধারণ মানুষ মনে করছেন, মহেশখালীর এই ঘটনা সিলেটের ঘটনার চাইতে কোন অংশেই কম নয়। বরং মহেশখালীর ঘটনাটি আরো বেশি মর্মান্তিক ও নিষ্ঠুর।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ সাংবাদিক জানান, ঘটনার শিকার মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে জাহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি জানান, হামলাকারি বখাটে জাহেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে করেই হোক খুব কম সময়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান মহেশখালী পুলিশের সর্বোচ্চ এই কর্মকর্তা।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মহেশখালীর আরেক অপরাধের জনপদ কালারমারছড়ায় ওই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর মাদ্রাসা ছাত্রী নাহিদা আকতারকে (১৫) কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও গত দুইদিন ধরে সে অচেতন অবস্থায় রয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন, সিলেটের খাদিজার ঘটনার চাইতেও নিষ্ঠুর ও মর্মান্তিক মহেশখালীর এই নাহিদা আকতারের উপর চালানো নিষ্ঠুরতা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাহিদা আকতারকে মুখে, মাথায়, হাতে, বুকে ও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে।
মহেশখালীর একাধিক স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন, কালারমারছড়া ইউনিয়নের কালারমারছড়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ও ফকিরজুম পাড়ার মোহাম্মদ হোছাইনের মেয়ে নাহিদা আক্তারকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল হোয়ানক ইউনিয়নের পুর্ব হরিয়ারছড়া এলাকার মৌলভী লোকমান হাকিমের ছেলে ‘বখাটে’ জাহেদুল ইসলাম। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই গত শনিবার বিকালে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং নাহিদাকে ধারালো কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্র মতে, কিশোরী নাহিদার শরীরে ১০ থেকে ১২টি কিরিচের কোপ লেগেছে। মুখে ও কপালে দুইটি গভীর কোপ লাগে।
সূত্র জানান, রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু নাহিদাকে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসাপাতালে পাঠিয়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সে বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুলতান আহামদ সিরাজী সাংবাদিকদের জানান, নাহিদার মুখের ও কপালের কোপ অত্যন্ত মারাত্মক। অন্য আঘাতগুলোও কম নয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে মহেশখালীর এই ঘটনা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে মহেশখালীজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পরে ওই আলোচনা দেশজুড়ে ছড়িয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাহিদা আকতার ও নির্যাতনকারী জাহেদুল ইসলামের ছবি তুলে ধরে নরপশু জাহেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও শুরু হয়েছে।
সাধারণ মানুষ মনে করছেন, মহেশখালীর এই ঘটনা সিলেটের ঘটনার চাইতে কোন অংশেই কম নয়। বরং মহেশখালীর ঘটনাটি আরো বেশি মর্মান্তিক ও নিষ্ঠুর।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ সাংবাদিক জানান, ঘটনার শিকার মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে জাহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি জানান, হামলাকারি বখাটে জাহেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে করেই হোক খুব কম সময়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান মহেশখালী পুলিশের সর্বোচ্চ এই কর্মকর্তা।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি