বিভাগের নাম ‘ময়নামতি’ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘কুমিল্লা নামেই বিভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্য কোনো নাম মেনে নেওয়া হবে না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার সকালে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ এ কথা বলেন। কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন কমিটির এই মানববন্ধনে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মোরতাজুল করিম বাদরু, বিএনপি নেতা খন্দকারমারুফ হোসেনপ্রমুখ অংশ নেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যদি নাম পরিবর্তন করা হয়, মনে রাখবেন আপনারাই শেষ সরকার নন। আগামী দিনে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তারা ওই নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা নামেই বিভাগের নামকরণ করবে।’
২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগকে ভেঙে কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে পৃথক বিভাগ করা যায় কি না, এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্দেশনা দেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় প্রস্তাবিত কুমিল্লা বিভাগের নাম ময়নামতি বিভাগ হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বিভিন্ন মহল থেকে এ নামের বিরোধিতা করা হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, ‘কুমিল্লা একটি সুপ্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী জেলা। এ জেলার সঙ্গে বহু ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িত। সুতরাং কুমিল্লা বাদে অন্য কোনো নামে বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লার জনগণ মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, ‘যারা কুমিল্লা বিভাগের নাম পরিবর্তন করতে চান, তারা আসলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। পাকিস্তান আমলে বৃহত্তর কুমিল্লার লোকজন শিক্ষা, সংস্কৃতিতে গুরুত্ববহ অবদান রেখেছেন। আজকের বাংলাদেশেও এখানকার লোকের সেসব ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। সুতরাং কুমিল্লা নামেই বিভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্য কোনো নাম মেনে নেওয়া হবে না।’
‘ময়নামতি’ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার একটি ইউনিয়নের নাম জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিভাগের নাম তো ইউনিয়নের নামে হতে পারে না। সরকার অযৌক্তিকভাবে ময়নামতি নামে বিভাগ করতে চাচ্ছে। যা ওই এলাকার মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করবে।’
সরকারকে এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার সকালে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ এ কথা বলেন। কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন কমিটির এই মানববন্ধনে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মোরতাজুল করিম বাদরু, বিএনপি নেতা খন্দকারমারুফ হোসেনপ্রমুখ অংশ নেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যদি নাম পরিবর্তন করা হয়, মনে রাখবেন আপনারাই শেষ সরকার নন। আগামী দিনে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তারা ওই নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা নামেই বিভাগের নামকরণ করবে।’
২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগকে ভেঙে কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে পৃথক বিভাগ করা যায় কি না, এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্দেশনা দেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় প্রস্তাবিত কুমিল্লা বিভাগের নাম ময়নামতি বিভাগ হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বিভিন্ন মহল থেকে এ নামের বিরোধিতা করা হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, ‘কুমিল্লা একটি সুপ্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী জেলা। এ জেলার সঙ্গে বহু ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িত। সুতরাং কুমিল্লা বাদে অন্য কোনো নামে বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লার জনগণ মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, ‘যারা কুমিল্লা বিভাগের নাম পরিবর্তন করতে চান, তারা আসলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। পাকিস্তান আমলে বৃহত্তর কুমিল্লার লোকজন শিক্ষা, সংস্কৃতিতে গুরুত্ববহ অবদান রেখেছেন। আজকের বাংলাদেশেও এখানকার লোকের সেসব ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। সুতরাং কুমিল্লা নামেই বিভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্য কোনো নাম মেনে নেওয়া হবে না।’
‘ময়নামতি’ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার একটি ইউনিয়নের নাম জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিভাগের নাম তো ইউনিয়নের নামে হতে পারে না। সরকার অযৌক্তিকভাবে ময়নামতি নামে বিভাগ করতে চাচ্ছে। যা ওই এলাকার মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করবে।’
সরকারকে এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি