বাংলাদেশ

আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে ‘যৌথ ঘোষণা’ আসছে

চিফ অব পুলিশ কনফারেন্সের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে ‘যৌথ ঘোষণা’ স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে রবিবার ইন্টারপোল এবং বাংলাদেশ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত তিনদিনব্যাপী চিফ অব পুলিশ কনফারেন্স অব সাউথ এশিয়া অ্যান্ড নেইবারিং কান্ট্রিস অন রিজিওনাল কো-অপারেশন ইন কার্ভিং ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম-এ তিনি এমন মন্তব্য করেন। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য- ‘Regional Cooperation in Curbing Violent Extremism and Transnational Crime’.

সম্মেলনে আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রুনাই, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এ ১৪টি দেশের পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়া ইন্টারপোল, ফেসবুক, ইন্টারপোল গ্লোবাল কমপ্লেক্স ফর ইনোভেশন (আইজিসিআই), যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), আসিয়ানাপোল (ASEANAPOL), ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ট্রেনিং অ্যাসিসট্যান্স প্রোগাম (আইসিআইটিএপি)সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

শহীদুল হক বলেন, ১৪টি দেশ ও ৬টি সংস্থা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে সকল দেশের সাথে আলোচনা হবে। শেষদিন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ আন্তঃদেশীয় অপরাধ প্রতিরোধের কর্মপন্থা নির্ধারণ করে ‘যৌথ ঘোষণা’ স্বাক্ষরিত হবে। এক দেশের সন্ত্রাসীরা অন্য দেশে পালিয়ে গেলে কীভাবে তাদের ফেরত আনা যায়, এসব বিষয় নিয়েও পারস্পরিক আলোচনা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহৃত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে সন্ত্রাসবাদের চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য সম্মেলনে ফেসবুক প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হযেছে। তাদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

সীমান্তের বিষয়গুলো বর্ডার গার্ডরা দেখেন। তারপরও অস্ত্র-মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এ সম্মেলনে বলেও জানান ইন্সপেক্টর জেনারেল।

বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান ছাড়াও আফগানিস্তানের সিনিয়র ডেপুটি মিনিস্টার ফর সিকিউরিটি আবদুল রহমান, মালয়েশিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ খালিদ আবু বকর, মিয়ানমার পুলিশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইও সি উইন এবং শ্রীলঙ্কার ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ পুজিৎ সেনাদি বান্দারা জয়াসুন্দারাসহ ৫৮ জন বিদেশি অতিথি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

তিনদিনের এ সম্মেলনে ১৪টি কর্ম অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। জঙ্গিবাদ দমন, মানবপাচার, অর্থনৈতিক অপরাধ এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন, মাদকদ্রব্য পাচার রোধ, অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধ, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় স্থান পাবে। সম্মেলনের শেষ দিন ১৪ মার্চ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে ‘যৌথ ঘোষণা’ স্বাক্ষর হবে।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি