বাংলাদেশ

প্রতিরক্ষা চুক্তি জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা : বিএনপি


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক বা চুক্তিতে স্বাক্ষর করাকে দেশের মানুষের সাথে ‘চরম বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিএনপি।

প্রতিরক্ষা চুক্তিকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার প্রক্রিয়া হিসেবেও উল্লেখ করেছে দলটির।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এই প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি সবসময় প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তবে মনে হয়েছে, হয়তো দেশ ও দেশের মানুষের কথা দৃঢ়ভাবে হলেও চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক বা চুক্তিতে সই করবেন না। কিন্তু জনগণকে অন্ধকারে রেখে, কোনো কিছু না জানিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ২২টি চুক্তি এবং ৪টি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ে দু’টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। বিএনপি মনে করে, এতে দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।’

রিজভী বলেন, ‘প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সমঝোতা স্মারক বা চুক্তিতে সই করার পূর্বে জনগণকে একটি শব্দও অবহিত না করা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। কারণ, পার্শ্ববর্তী এই দেশটি (ভারত) বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষকে গুরুত্ব দেয় না। তারা শুধু রক্ষা করতে চায় এ দেশের একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে, যারা এখন জোর করে ক্ষমতায়।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই যে তাদের অশুভ ইচ্ছা একটি দলকে ক্ষমতায় রাখা; বিএনপি সেটারই প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছে। এখন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভারতের কাছে উন্মোচন করে দেয়া হলো। অর্থাৎ আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব বিপন্ন করার প্রক্রিয়া হলো এই প্রতিরক্ষা চুক্তি।’

প্রতিরক্ষা চুক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী।