বাংলাদেশ

বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় খালাসপ্রাপ্ত আ.লীগ নেতা তোরাব আলীর মৃত্যু

বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আলোচিত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী মারা গেছেন।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ভোর ছয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, তোরাব আলী মেডিকেলের করোনারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি হার্টের জটিলতায় ভুগছিলেন।

বিডিআর বিদ্রোহে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই আওয়ামী লীগ নেতা বিচারিক আদালত থেকে যাবজ্জীবন পেয়েছিলেন। গত ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের রায়ে তিনি খালাস পান। তবে খালাসের কাগজপত্র কারাগারে না পৌঁছায় তিনি এতদিন কারাবন্দিই ছিলেন।

তোরাব আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তার বাসায় ষড়যন্ত্রমূলক একটি মিটিং হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এক আসামি তার জবানবন্দিতে এই কথা উল্লেখ করেছেন। এছাড়া তোরাব আলী নিজেও ১৬৪ ধারায় বলেছিলেন, প্রাইম কোচিং সেন্টারের মালিক জাকির তাকে বলেছিলেন, পিলখানায় ২৫ তারিখ গণ্ডগোল হবে।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর পিলখানা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী এবং বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান।

এই রায়ের বিরুদ্ধে তোরাব আলী এবং পিন্টু আপিল করেন। বিচার চলাকালে বন্দি অবস্থায় মারা যাওয়ায় পিন্টুর নাম বাদ দেয়া হয়।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সে সময়ের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের সদরদপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহ করে সৈনিকরা। দুই দিনের বিদ্রোহের পর সেনাবাহিনী পিলখানার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ৫৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার তথ্য জানা যায়।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি