মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি ঘটেছে দেশের বেশির ভাগ এলাকায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫৫টি জেলাতেই কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর মোট আক্রান্তের ৭৩ শতাংশ ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। তবে কোন ৯টি জেলায় এখনও করোনা হানা দেয়নি তা তিনি উল্লেখ করেননি।
ঢাকা শহরের পরেই বেশি করোনা রোগী রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলায়। এই জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪৯২ জন। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় আছেন ৩৬৪ জন। এখানে মারা গেছেন ৩৫ জন আর সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন।
এরপরে সংখ্যার দিক থেকে রয়েছে গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ এবং নরসিংদীর অবস্থান। ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তিন হাজার ৯৬টি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১২০ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন পাঁচ জন। এখন পর্যন্ত ৯২ জন সুস্থ হয়েছেন। যে ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ সাত জন ও মহিলা তিন জন। এর মধ্যে সাতজন ঢাকার ভেতরে সাতজন ও তিনজন মারা গেছে যথাক্রমে ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে। এই ১০ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্বো তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সসীমার মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সসীমার মধ্যে তিনজন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের বয়সসীমার মধ্যে দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, এখন পর্যন্ত ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৫ জেলায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ পেয়েছি। এর মধ্যে ঢাকা শহরেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি এখনো। ঢাকা বিভাগেও এই হার বেশি। ঢাকা বিভাগের চারটি জেলায় আক্রান্তের হার বেশি।
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুস্থ রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করলেও বাংলাদেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তুলনায় এখনো তা অনেক কম বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
বুধবার পর্যন্ত দেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৭৭২ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের, আর সুস্থ হয়েছেন ৯২ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯০ জন আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে, যা পরীক্ষা করা নমুনার প্রায় ১০ শতাংশ।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আসলে যারা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। অনেক সময় উপসর্গ ও লক্ষণ নিয়েই তারা ১৪/১৫ দিন পর্যন্ত থাকেন। তারপরে তাদের এই লক্ষণ বা উপসর্গ কমতে শুরু করে এবং প্রায় মাসখানেক সময় লেগে যায় সম্পূর্ণ সুস্থ হতে।
নাসিমা বলেন, 'একজন ব্যক্তিকে আমরা তখনই সম্পূর্ণ সুস্থ বলবো, যখন পরপর দুটি পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসবে।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/সিসি
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। তবে কোন ৯টি জেলায় এখনও করোনা হানা দেয়নি তা তিনি উল্লেখ করেননি।
ঢাকা শহরের পরেই বেশি করোনা রোগী রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলায়। এই জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪৯২ জন। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় আছেন ৩৬৪ জন। এখানে মারা গেছেন ৩৫ জন আর সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন।
এরপরে সংখ্যার দিক থেকে রয়েছে গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ এবং নরসিংদীর অবস্থান। ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তিন হাজার ৯৬টি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১২০ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন পাঁচ জন। এখন পর্যন্ত ৯২ জন সুস্থ হয়েছেন। যে ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ সাত জন ও মহিলা তিন জন। এর মধ্যে সাতজন ঢাকার ভেতরে সাতজন ও তিনজন মারা গেছে যথাক্রমে ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে। এই ১০ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্বো তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সসীমার মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সসীমার মধ্যে তিনজন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের বয়সসীমার মধ্যে দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, এখন পর্যন্ত ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৫ জেলায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ পেয়েছি। এর মধ্যে ঢাকা শহরেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি এখনো। ঢাকা বিভাগেও এই হার বেশি। ঢাকা বিভাগের চারটি জেলায় আক্রান্তের হার বেশি।
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুস্থ রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করলেও বাংলাদেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তুলনায় এখনো তা অনেক কম বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
বুধবার পর্যন্ত দেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৭৭২ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের, আর সুস্থ হয়েছেন ৯২ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯০ জন আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে, যা পরীক্ষা করা নমুনার প্রায় ১০ শতাংশ।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আসলে যারা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। অনেক সময় উপসর্গ ও লক্ষণ নিয়েই তারা ১৪/১৫ দিন পর্যন্ত থাকেন। তারপরে তাদের এই লক্ষণ বা উপসর্গ কমতে শুরু করে এবং প্রায় মাসখানেক সময় লেগে যায় সম্পূর্ণ সুস্থ হতে।
নাসিমা বলেন, 'একজন ব্যক্তিকে আমরা তখনই সম্পূর্ণ সুস্থ বলবো, যখন পরপর দুটি পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসবে।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/সিসি