করোনা কর্ণার

আসন্ন শীতে যুক্তরাষ্ট্রে আরো বাড়বে করোনার প্রকোপ!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাসে ইতোমধ্যে বিপর্যস্ত। মহামারি এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে দেশটির প্রায় ষাট লাখ বাসিন্দা, মারা গেছেন প্রায় দুই লাখ। এরমধ্যে করোনাভাইরাস সম্পর্কে আরো উদ্বেগজনক তথ্য দিলো 'দ্য হেলথ মেট্রিক্স এন্ড ইভোলিউশন (আইএইচএমই)' নামের গবেষণা সংস্থা। 

ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন পরিচালিত গবেষণা সংস্থা 'দ্য হেলথ মেট্রিক্স এন্ড ইভোলিউশন' এর মতে, আসন্ন শীতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরো খারাপ অবস্থায় পৌঁছাবে, দেশটিতে দ্বিগুণ হবে মৃত্যু সংখ্যা। ২০২১ এর জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াবে কমপক্ষে চার লাখ ষাট হাজারে, আর সর্বোচ্চ হতে পারে প্রায় ছয় লাখ।

আইএইচএমই এর ডিরেক্টর ড. ক্রিস্টোফার মারি এক বিবৃতিতে জানান, আসন্ন শীত মৌসুমে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কি হতে পারে, সে বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। দেশটিতে এমনিতেই মাস্ক পরিধান করার প্রচলণ হ্রাস পেয়েছে৷ সেইসাথে বাসিন্দাদের মধ্যে ভ্রমণের হারও বাড়ছে। সবমিলিয়ে আসন্ন ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে যাচ্ছে। 

আইএইচএমই এর গবেষণায় কম্পিউটার মডেল প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেখা গেছে, আগামী চারমাসে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। ইতোমধ্যে মহামারি ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা এক লাখ বিরানব্বই হাজারে পৌঁছেছে। 

এদিকে, বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনেক ভালো কাজ করছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে, তাছাড়া ভ্যাকসিনও আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে৷ খুব শীঘ্রই এটি সম্পূর্ণ প্রতিহত করা সম্ভব হবে। 

কিন্তু হোয়াইট হাউজের এই বিবৃতির সাথে দ্বিমত পোষণ করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজের ডিরেক্টর ড. এন্থনি ফাউসি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। প্রতিদিন দেশটিতে এক হাজার জন মারা যাচ্ছে ভাইরাসটির কারণে, আক্রান্ত হচ্ছে কমপক্ষে চল্লিশ হাজার। এটিকে কোনোভাবেই পরিস্থিতির উন্নতি বলা যায় না।

ড. এন্থনি ফাউসি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী কয়েকমাসের মধ্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হবে না। ভ্যাকসিন আবিষ্কার কোনো 'অটোমেটিক প্রসেস' নয়, এটি তৈরি করতে একটি চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সেই হিসেবে ২০২১ সালের আগে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার কোনো কারণ নেই। 



এলএবাংলাটাইমস/ওএম