করোনা কর্ণার

ভ্যাকসিন এলেও শীঘ্রই থামবেনা করোনা মহামারী

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মহামারী এই ভাইরাসটির ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে উঠেপড়ে লেগেছে দেশটি। ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছেন, এই বছরের আগেই ভ্যাকসিন প্রস্তুত হতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে গেলেও দ্রুতই থামবেনা মহামারী। বরং পরিস্থিতি ভালো হতে লেগে যেতে পারে আরো বছরখানেক। 

টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টির হেলথ ডিপার্টমেন্টের প্রধান ড. ওমাইর শাহ বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেও এটির ফলাফল পেতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। এর স্বপক্ষে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রে, যেটি করোনাভাইরাসের তুলনায় খুবই নগণ্য ভাইরাস। কিন্তু সেটির টিকা আবিষ্কারের পরেও এর সুফল পেতে বেশ কয়েক মাস লেগেছিলো। করোনাভাইরাস সেই তুলনায় অনেক ভয়াবহ ভাইরাস। পাবলিক হেলথ এক্সপার্ট ও ফেডেরাল সরকার যদিও দাবি করছেন এই বছরের শেষেই ভ্যাকসিন চলে আসবে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে মহামারী খুব শীঘ্রই থেমে যাবে না। 

প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজের ডিরেক্টর ড. এন্থনি ফাউসি। তিনি বলেন, আমি আশাবাদি এই বছরের শেষে কিংবা সামনের বছরের শুরুতেই করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেই সেটি যুক্তরাষ্ট্রের ৩০০ মিলিয়ন মানুষকে দেওয়া হবে, বিষয়টি এমন নয়। 

ড. এন্থনি ফাউসি বলেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে সেটি অবশ্যই প্রথমে ইউএস ড্রাগ এন্ড ফুড এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। এই অনুমোদন পেতে একমাস কিংবা এক বছরও লাগতে পারে। যদিএ এফডিএ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন অনুমোদনের ক্ষেত্রে 'জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন' দিবে, তবে সেটির ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট মান বজায় রাখতে হবে, যেটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। 

এছাড়াও, ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে সেটি প্রথমেই সকল জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে না বলেও জানিয়েছেন এফডিএর প্রাক্তন কমিশনার ড. মার্ক ম্যাকক্লেলান। তিনি জানান, প্রথমদিকে এটি শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে আর যেসব এলাকায় ভ্যাকসিন খুবই জরুরি হয়ে যাবে- শুধুমাত্র তাদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। 

এলএবাংলাটাইমস/ওএম