আগামী ১৯ নভেম্বর ২০২১, একযোগে আমেরিকা ও কানাডার ১৪টি মেইনস্ট্রিম মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে “ঊনপঞ্চাশ বাতাস”। ঐদিন থেকে সিনেমাটি দেখা যাবে লস এঞ্জেলেস এর ‘সিনেমার্ক ১৮ & এক্সডি’ এবং নর্থ হলিউড এর ‘সিনেমার্ক নর্থ হলিউড’ থিয়েটারে। এই ছবিতে আছে অনেক প্রথমের সমাহার। লস এঞ্জেলেস এর দর্শকদের জন্য লিখেছেন ছবির পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বল।
“ঊনপঞ্চাশ বাতাস” । বাংলায় প্রচলিত একটা বাগধারা ঊনপঞ্চাশ বায়ু যার অর্থ পাগলামী। বায়ু এবং বাতাস সমার্থক , সেখান থেকে হয়েছে ঊনপঞ্চাশ বাতাস। এটার শাব্দিক অনুবাদ নয়। অনুভূতির অনুবাদ বলা যেতে পারে। একটা অসম্পূর্ণ প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকার অস্বস্তিকর অনুভুতি থেকে শিরোনামটি নেওয়া হয়েছে।
এটা আমার জীবনের প্রথম পুর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র। সবকিছুই প্রথম বলা যায় – চলচ্চিত্রে প্রথম সংগীত পরিচালক , গীতিকার , সুরকার এবং প্লেব্যাক শিল্পী হিসাবে কাজ করা , শিল্প নির্দেশনা , প্রোডাকশন ডিজাইন সবই চলচ্চিত্রে প্রথম , যদিও গত ১৫ বছরে টেলিভিশন নাটক এবং বিজ্ঞাপনে একই ভুমিকা পালনকরে এসেছি আমি। ইমতিয়াজ বর্ষণ এবং শার্লিন ফারজানার প্রথমচলচ্চিত্র এটা।
বর্ষণ মুলত চট্টগ্রামের এ্যাভাগার্ড থিয়েটারের একজন একনিষ্ঠ কর্মি। ফলে অভিনয় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিখে এসে সে ঊনপঞ্চাশ বাতাস চলচ্চিত্রে অয়ন হিসাবে কাজ করেছে। চট্টগ্রামে বসবাস এবং চাকরীর কারণে ৩-৪ মাস রিহার্সেলের পুরোটা সময় প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারে সারারাত জার্ণি করে শুক্র-শনিবার টানা রিহার্সেল করে আবার রাতের বাস বা ট্রেন ধরে সে চট্টগ্রাম গিয়ে অফিস ধরতো। এই ধরণের ডেডিকেশন ছাড়া কোন দিনও পর্দায় এমন পরিমিত অথচ জীবন্ত অয়নকে আমরা পেতাম না !
সিনেমার পর্দায় যে পাগলাটে উচ্ছল স্বভাবের নীরাকে দেখি , বাস্তব জীবনের শার্লিন ফারজানা খানিকটা তেমনই। পাগলাটে স্বভাবের , তাই সেটে আসা পর্যন্ত যা দুশ্চিন্তা , এরপর ফ্রেমজুড়ে সে রাজ করত। তার প্রমাণ আমরা ঊনপঞ্চাশ বাতাসের নীরা চরিত্রে দেখেছি। লম্বা সময়ের রিহার্সেল আর শার্লিন ফারজানার নিজস্ব অভিনয় ক্ষমতার কারণে এমন শক্তিশালী এবং মানবিক একটি চরিত্র নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে ! পরিচালকের চাহিদা মত ভয়েস টোন তৈরী করার জন্য সে প্রায় একবছর সময় নিয়ে কন্ঠশীলন করে নীরার কন্ঠ তৈরী করে নিয়েছে , এটা নি:সন্দেহে যে কারো জন্য অনুপ্রেরনাদায়ক।
“প্রথম ঝরে পড়া শিউলীটা “ শিরোনামের গানটি সবার জীবনে প্রথম। এটির গীতিকার সুমন টিংকুর চলচ্চিত্রে প্রথম লেখা গান , নায়ক ইমতিয়াজ বর্ষণের সুরারোপ করা প্রথম কোন সিনেমার গান , মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের প্রথম সিনেমাতে সংগীতায়জন , বেস বাবা সুমনের প্রথম সিনেমাতে প্লেব্যাক !
“এ শহর জানে “ এটা সৌরিনের প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য লেখা আর সুর এবং প্লেব্যাক করা গান।
“মেঘমালা” মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের চলচ্চিত্রের জন্য প্রথম লেখা , সুর করা , সংগীতায়জন আর প্লেব্যাক করা গান।
এছাড়া - “যেখানে খুঁজে বেড়াই” , “তোমার চিবুক” মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের লেখা , সুর আর সংগীতায়জনের গান , যাথে কোলকাতার জনপ্রিয় ব্যান্ড ক্যাকটাসের লীড ভোকাল সিদ্ধার্থ শংকররে (সিধু) প্রথম কোন বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে কন্ঠ দিয়েছেন , এবং কোলকাতার সোমলতাও একটি গানে কন্ঠ দিয়েছেন।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/ই
[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]
“ঊনপঞ্চাশ বাতাস” । বাংলায় প্রচলিত একটা বাগধারা ঊনপঞ্চাশ বায়ু যার অর্থ পাগলামী। বায়ু এবং বাতাস সমার্থক , সেখান থেকে হয়েছে ঊনপঞ্চাশ বাতাস। এটার শাব্দিক অনুবাদ নয়। অনুভূতির অনুবাদ বলা যেতে পারে। একটা অসম্পূর্ণ প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকার অস্বস্তিকর অনুভুতি থেকে শিরোনামটি নেওয়া হয়েছে।
এটা আমার জীবনের প্রথম পুর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র। সবকিছুই প্রথম বলা যায় – চলচ্চিত্রে প্রথম সংগীত পরিচালক , গীতিকার , সুরকার এবং প্লেব্যাক শিল্পী হিসাবে কাজ করা , শিল্প নির্দেশনা , প্রোডাকশন ডিজাইন সবই চলচ্চিত্রে প্রথম , যদিও গত ১৫ বছরে টেলিভিশন নাটক এবং বিজ্ঞাপনে একই ভুমিকা পালনকরে এসেছি আমি। ইমতিয়াজ বর্ষণ এবং শার্লিন ফারজানার প্রথমচলচ্চিত্র এটা।
বর্ষণ মুলত চট্টগ্রামের এ্যাভাগার্ড থিয়েটারের একজন একনিষ্ঠ কর্মি। ফলে অভিনয় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিখে এসে সে ঊনপঞ্চাশ বাতাস চলচ্চিত্রে অয়ন হিসাবে কাজ করেছে। চট্টগ্রামে বসবাস এবং চাকরীর কারণে ৩-৪ মাস রিহার্সেলের পুরোটা সময় প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারে সারারাত জার্ণি করে শুক্র-শনিবার টানা রিহার্সেল করে আবার রাতের বাস বা ট্রেন ধরে সে চট্টগ্রাম গিয়ে অফিস ধরতো। এই ধরণের ডেডিকেশন ছাড়া কোন দিনও পর্দায় এমন পরিমিত অথচ জীবন্ত অয়নকে আমরা পেতাম না !
সিনেমার পর্দায় যে পাগলাটে উচ্ছল স্বভাবের নীরাকে দেখি , বাস্তব জীবনের শার্লিন ফারজানা খানিকটা তেমনই। পাগলাটে স্বভাবের , তাই সেটে আসা পর্যন্ত যা দুশ্চিন্তা , এরপর ফ্রেমজুড়ে সে রাজ করত। তার প্রমাণ আমরা ঊনপঞ্চাশ বাতাসের নীরা চরিত্রে দেখেছি। লম্বা সময়ের রিহার্সেল আর শার্লিন ফারজানার নিজস্ব অভিনয় ক্ষমতার কারণে এমন শক্তিশালী এবং মানবিক একটি চরিত্র নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে ! পরিচালকের চাহিদা মত ভয়েস টোন তৈরী করার জন্য সে প্রায় একবছর সময় নিয়ে কন্ঠশীলন করে নীরার কন্ঠ তৈরী করে নিয়েছে , এটা নি:সন্দেহে যে কারো জন্য অনুপ্রেরনাদায়ক।
“প্রথম ঝরে পড়া শিউলীটা “ শিরোনামের গানটি সবার জীবনে প্রথম। এটির গীতিকার সুমন টিংকুর চলচ্চিত্রে প্রথম লেখা গান , নায়ক ইমতিয়াজ বর্ষণের সুরারোপ করা প্রথম কোন সিনেমার গান , মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের প্রথম সিনেমাতে সংগীতায়জন , বেস বাবা সুমনের প্রথম সিনেমাতে প্লেব্যাক !
“এ শহর জানে “ এটা সৌরিনের প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য লেখা আর সুর এবং প্লেব্যাক করা গান।
“মেঘমালা” মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের চলচ্চিত্রের জন্য প্রথম লেখা , সুর করা , সংগীতায়জন আর প্লেব্যাক করা গান।
এছাড়া - “যেখানে খুঁজে বেড়াই” , “তোমার চিবুক” মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের লেখা , সুর আর সংগীতায়জনের গান , যাথে কোলকাতার জনপ্রিয় ব্যান্ড ক্যাকটাসের লীড ভোকাল সিদ্ধার্থ শংকররে (সিধু) প্রথম কোন বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে কন্ঠ দিয়েছেন , এবং কোলকাতার সোমলতাও একটি গানে কন্ঠ দিয়েছেন।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/ই
[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]