বিনোদন

অনেক বৈচিত্র্য আছে এখনকার সিনেমায়

তিন শতাধিক সিনেমার অভিনয় শিল্পী অঞ্জনা সুলতানা। এর কোনোটিতে ছিলেন নৃত্যশিল্পী, কোনোটিতে সহশিল্পী আবার নায়িকা হিসেবেও অভিনয় করেছেন প্রচুর সিনেমায়। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা আলমগীর কবিরের ‘পরিণীতা’ সিনেমায় ললিতা চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। নতুন সিনেমা নিয়ে আসবেন বলেছিলেন, সেটার কী খবর? এ নিয়ে আমার অনেক দিনের পরিকল্পনা তো ছিলই এবং এখনও আছে। তবে সিনেমার বাজার দেখে সময় নিতে হয়েছে আমাকে। আমার এ পরিকল্পনার বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলতে পারছি না। এজন্য আপনাদের আরও দু’মাস অপেক্ষা করতে হবে। তখনই এ বিষয়ে সব জানাতে পারব আপনাদের। এখন এ নিয়ে একটা প্রস্তুতির ওপর দিয়ে যাচ্ছি আমরা।

এখন যেসব সিনেমা আসছে তাতে বৈচিত্র্য কেমন আছে মনে করেন? আগেকার ছবির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে তো হবে না। অবশ্যই এখনকার সিনেমাতেও বৈচিত্র্য আছে। নতুন মুখও আসছে। বৈচিত্র্যও আসতেছে। গল্পগুলোও ডিফারেন্ট। এখনকার দর্শক যে রকম ছবি চাচ্ছে সে রকম ছবিই হচ্ছে। একেকটা ছবি একেক রকম হচ্ছে। ডিরেক্টররাও খুব টেলেন্টেড। ডিফারেন্ট, ডিফারেন্ট ডিরেক্টর আসতেছে, এটা দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। কেন দর্শক হবে না। ছবি যদি আমি ভালো বানাতে পারি তবে কেন দর্শক হবে না। আমার যদি পাবলিসিটি ঠিক মতো হয় কেন দর্শক হবে না। আর সব ছবিই যে বাম্পার হিট হয়ে যাবে এমনটা আশা করা তো ঠিক হবে না। তাতে যদি কস্টিংটা উঠে আসে তাতেই তো যথেষ্ট। ‘প্রিয়তমা’র মতো হবে সেভাবে চিন্তা করলে তো হবে না। শুধু শাকিব খানের ছবিতেই দর্শক হয়- অন্যদের তো হয় না? সে জন্য তাদের অনুযায়ী গল্পগুলো ঠিক করতে হবে। তাদেরকে নিয়ে ছবির গল্প করতে হবে। যাকে দিয়ে যে ধরনের ছবি হবে সে ধরনের ছবি বানাতে হবে। শুধু তাদেরকে নিয়েই আলাদাভাবে চিন্তা করে সিনেমাটা বানাতে হবে। তারা যে আপ কামিং স্টার হিসেবে উঠে আসতেছে সেটা পাবলিককে, ঘরে-ঘরে তাদেরকে জানানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাদেরকে সেভাবে প্রমোট করতে হবে। তাহলেই না পাবলিক তাদের চিনবে। তাদেরকে আলাদাভাবে জানাতে হবে। তাদের জন্য আলাদাভাবে খরচ করতে হবে। আগে এক ডজনের ওপর সুপারস্টার ছিলেন তাদের তো চিনাতে হয়নি! ওই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে হবে? ওই সময়টা শেষ। ওই সময়টা আর কখনোই দেখা যাবে না। এখন স্যাটেলাইটের যুগ। তখন কি স্যাটেলাইট ছিল, এত চ্যানেল ছিল? সারা পৃথিবীই এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। কোথায় কি হচ্ছে মানুষ এক মুঠোতেই জানতে পারছে সব। এখন বেশি বেশি পাবলিসিটির যুগ। নতুন একটা হিরো আসবে তাকে তো চেনাতে হবে। তাহলেই না পাবলিক তার সম্পর্কে জানবে। এখন আলাদাভাবে কেউ কাউকে না চিনাতে পারলে, সিনেমা বানিয়ে ঘরে বসে থাকলে সেই সিনেমা কেউ দেখবেও না, তার নায়ক-নায়িকাকেও কেউ চিনবে না। এখন হলে কোন ছবি আসল তা যদি না জানাতে পারি তাহলে তো কিছুই হলো না। মুক্তি পাওয়া কোনো কোনো সিনেমা আছে- যার খোঁজও থাকে না! থাকবে কী করে? চ্যানেল আইয়ের সিনেমা ‘মাসুদ রানা’ নিয়ে তো যথেষ্ট প্রচার-প্রচারণা হয়েছে। সেটার দর্শক কেমন? ডিপজলের ‘ঘর ভাঙা সংসার’ কেমন চলছে? এ নিয়ে তো আপনারা নিজেরাই খোঁজ রাখেন না দর্শক তখন কী খোঁজ পাবে নতুন মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো সম্পর্কে? আপনারা তো পাইছেন এক শাকিব খানের সিনেমাই। শুধু এক শাকিব খানের সিনেমার নিউজই ঢাকঢোল পিটিয়ে ফলাও করে দেন। আগে তো সব সিনেমার খবরই মিডিয়ায় আসত! অথচ এখন অনেক ছবি আছে যেগুলোকে প্রায়ই মিডিয়া এড়িয়ে যাচ্ছে এটাও তো কম দেখে আসছি না! পরে দেখা গেল ঐ ছবিটাই আন্তর্জাতিক পুরস্কার নিয়ে এলো। এভাবে একতরফা পাবলিসিটি করলে আমাদের সিনেমার ভবিষ্যৎও কি ভালো হবে? এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস