বিনোদন

বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের শততম জন্মদিন আজ

বন্ধুরে কই পাবো সখি গো...., কেনো পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু ছেড়ে যাইবা যদি..., তুমি বিনে আকুল পরান থাকতে চায় না ঘরে রে..., কোন মিস্তরি নাও বানাইছে কেমন দেখা যায়/ ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে মুয়ূর পঙ্খীর নায়... এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের ¯্রষ্টা, বাংলা বাউল গানের  কিংবদন্তী শাহ আব্দুল করিমের শততম জন্মদিন আজ। ১৯১৬ সালের এই দিনে সুনামগঞ্জের দিরাই থানার উজানধল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দারিদ্র্য ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল করিমের সঙ্গীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই।

গ্রামের অন্যদশটা পরিবারের মতো ছিল না তাঁর পরিবার। সংসারের অভাব-অনটন, নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থার মধ্যে বেড়ে ওঠেন করিম। পিতা ইব্রাহিম আলী ছিলেন কৃষক আর মাতা নাইওরজান বিবি ছিলেন সাদামাটা গ্রাম্য বধূ। ইব্রাহিম আলীর ছয় সন্তানের মধ্যে করিম ছিলেন একমাত্র ছেলে, বাকি পাঁচজন মেয়ে।

স্কুলে গিয়েছিলেন মাত্র আট দিন। কিন্তু সমস্ত জীবনটাকেই তিনি বানিয়ে তুলেছেন পাঠশালা। নিজেই হয়ে উঠেছেন প্রতিষ্ঠান। এখন শাহ আবদুল করিম নামের পাঠশালায় পড়তে আসেন প্রথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ। আবদুল করিমের মাধ্যমে খোঁজে বেড়ান জীবনের সহজিয়া শিল্পরূপ।

উজানধল গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কালনী নদী। করিমের বাড়ি থেকে কালনীর দূরত্ব প্রায় ৫০ গজ। সারি সারি হিজল গাছ কালনীর ছোট ছোট ঢেউ যেকোনো মানুষকে বাউলদর্শনের কাছে জোর করে টেনে নিয়ে যাবে। প্রকৃতির এমন রূপ দেখে বেরসিকের কণ্ঠেও অবচেতন মনে গুন গুন গান ভেসে আসবে। গানপাগল করিমের পরিপার্শ্ব ছিল মন মাতানো রূপের। শেষ বিকেল অথবা ভরদুপুরে কালনীর তীরে বসে করিম রচনা করেছেন অসংখ্য বাউলগান।

ভাটিবাংলা খ্যাত সুনামগঞ্জের ছোট্ট উপজেলা দিরাইয়ের আবদুল করিম রচিত গান পদ্মা, মেঘনা, যমুনা বিধৌত ব-দ্বীপের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের দরবারে স্থান করে নিয়েছে। আর তাই তো দিরাই শহরের পাঁচ-ছয় বছর বয়সের শিশুরা তাকে চেনে করিম সাব হিসেবে। বাংলাদেশের প্রবাদতুল্য বাউল আবদুল করিম ভাটিবাংলার অপরূপ সৌন্দর্য ধারণ করেছিলেন তার হৃদয়ের গভীরে। ভাটির প্রকৃতি জল-স্থল, আকাশ-বাতাস,