পরিবেশ

জলবায়ু বিপর্যয়: বিশ্ব তাকিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে

বৈশ্বিক জলবায়ু বিপর্যয়ের ভুক্তভোগী আমেরিকাসহ সারা বিশ্বই। আগামী দিনগুলোতে জলবায়ু বিপর্যয় কতোটা কাটানো সম্ভব হবে, এটি অনেকাংশে নির্ভর করছে অন্যতম শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থার উপর। পরিবেশ বিজ্ঞানী, নীতি নির্ধারক ও পরিবেশবাদীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। এর কারণ হচ্ছে, রক্ষণশীল ঘরানার ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিবেশ ও জলবায়ু বিপর্যয়কে মোটেও গুরুত্ব সহকারে দেখেন না। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বড় দেশ পরিবেশ দূষণ করেও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে না। অপরদিকে উদারপন্থী ঘরানার প্রার্থী জো বাইডেন ও তাঁর দল বরাবরই জলবায়ু ও পরিবেশ বিপর্যয়কে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে থাকে। বিজ্ঞানী ও নীতিনির্ধারকরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এমন একজন প্রেসিডেন্ট প্রয়োজন যিনি পরিবেশ ও জলবায়ুকে গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। এর স্বপক্ষে তাঁরা বলেন, প্রথমত বিশ্বের জলবায়ু বিপর্যয় রোধে যুক্তরাষ্ট্র বড় ভূমিকা রাখতে পারবে৷ কারণ বিশ্বের প্রায় সব দেশই আমেরিকার নীতি গ্রহণ করে থাকে। ফলে জলবায়ু রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা ও অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। দ্বিতীয়ত, চীনের পর পরিবেশকে সবচেয়ে দূষিত করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।জলবায়ু রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৬ সালের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কিছু রাজ্যে জলবায়ু আইনের পরিবর্তন করেছেন। পাশাপাশি প্যারিসের জলবায়ু সম্মেলন থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে এনেছেন ট্রাম্প। সম্মেলনে ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাস ও বিশুদ্ধ পানি রয়েছে। অপরপক্ষে চীন ও ইন্ডিয়া পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। তবে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু বিপর্যয় ঘটছে যুক্তরাষ্ট্রেও। সাম্প্রতিককালে ক্যালিফোর্নিয়ার ভয়াবহ দাবানল ও দূষিত বাতাস মূলত পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণেই হয়েছে। এছাড়া ঘনঘন হারিকেন ও ভূমিকম্পের জন্যেও জলবায়ু বিপর্যয় দায়ী। এলএবাংলাটাইমস /ওএম