ইউরোপ

ইউরোপে মৃত্যু ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে

যত দিন যাচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল তত লম্বা হচ্ছে। ইউরোপে মৃত্যু ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮৯ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ২২৬ জন। আর প্রাণ গেছে ৪৪ হাজার ২১৬ জনের।

এর মধ্যে শুধু ইউরোপেই মৃত্যু ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। চীন ও ইরানের পর করোনাভাইরাস মূল আঘাতটি হানে ইতালিতে। তবে করোনার কেন্দ্র এখন ইতালি থেকে সরে ক্রমশ স্পেনের দিকে যাচ্ছে।

স্পেন এখন বিশ্বের তৃতীয় দেশ যেখানে এক লাখের বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। খবর বিবিসি, এএফপির।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, স্পেনে বুধবার মৃতের সংখ্যা মোট ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু স্পেন ও ইতালিতেই মারা গেছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। টানা পাঁচদিন স্পেনে ৮০০ বা তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন। তবে গোটা ইউরোপের অবস্থাই এখন শোচনীয়।

নেদারল্যান্ডসে ১ হাজার ছাড়িয়েছে। বেলজিয়ামে আটশ’র বেশি মানুষ মারা গেছেন। জার্মানিতেও আটশ’র কাছাকাছি মানুষ করোনাভাইরাসে মারা গেছেন। সুইজারল্যান্ডে পাঁচশ’র কিছু কম মানুষ মারা গেছেন।

তুরস্ক, সুইডেন ও পর্তুগালেও দেড়শ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এ বৈশ্বিক মহামারীতে। অস্ট্রিয়ায় মারা গেছেন শতাধিক মানুষ। ইউরোপ পুরো বিশ্ব থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন আছে।

১২ মার্চ ইতালিতে লকডাউন দেয়া হয়। এরপর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ঘোষণা দেয় ইউরোপজুড়ে লকডাউন দেয়ার কথা। ১৮ মার্চ থেকে সেটা বলবৎ আছে।

ফ্রান্সের হাসপাতালগুলোতে আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩,৫২৩। প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে দৈনিক মৃত্যুর হিসাবে এটিই ছিল ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা।

বেলজিয়ামে ১২ বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে। এটিকে ধারণা করা হচ্ছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ইউরোপে সবচেয়ে কমবয়সী কারও মৃত্যু হিসেবে।


এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/ইউ