ইউরোপ

ইউরোপের ৯৫ শতাংশ করোনায় মৃত ষাটোর্ধ্ব কিন্তু তরুণরাও নিরাপদ নন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

 ইউরোপে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের ৯৫ শতাংশেরও বেশির বয়স ষাটের বেশি। কিন্তু তরুণ প্রজন্মও বিপন্মুক্ত নয়, কারণ করোনা বয়স দেখে হচ্ছে না। বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান হান্স ক্লুজ।

কোপেনহাগেনে এক অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে ক্লুজ বলেছেন, করোনা শুধু বয়স্ক মানুষদের আক্রমণ করছে বলে যা ভাবা হচ্ছে, তা ঠিক নয়।  তরুণরাও নিরাপদ নন এই ব্যাধি থেকে। ১০%-৫০% ৫০ অনূর্ধ্ব মানুষের এই অসুখে মাঝামাঝি থেকে বাড়াবাড়িরকম আক্রান্ত হওয়ার খবর রয়েছে। ১৩-১৯ বছর বয়সের মধ্যে বা যাঁদের বয়স ২০-র কোঠায়, তাঁদেরও অনেকে করোনায় গুরুতর অসুস্থ। অনেকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রয়েছেন, কয়েকজনের মৃত্যুও ঘটেছে।

তিনি আরও বলেছেন, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩০,০৯৮ জন ইউরোপবাসী এই রোগে মারা গিয়েছেন, এঁরা বেশিরভাগই ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনের মানুষ। মৃতদের ৯৫ শতাংশের বেশির বয়স ৬০-এর বেশি, অর্ধেকেরও বেশি বয়স ৮০ পেরিয়েছিল। আর মৃতদের ৮০ শতাংশেরও বেশি ভুগছিলেন হৃদরোগ, হাইপারটেনশন বা ডায়াবিটিসের মত অন্য কোনও রোগে। তারপর মরণ কামড় দেয় করোনা। তবে এমন ঘটনাও সামনে এসেছে, যেখানে ১০০-র বেশি বয়সী মানুষ, যাঁর হার্টের রোগ রয়েছে, তিনি করোনা থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় হয়েছেন, এটাই আশার কথা। ক্লুজ বলেছেন।


এলএবাংলাটাইমস/এম/এইচ/টি