ইউরোপ

ইউরোপে তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ভয়াবহ মাত্রায়

দাবদাহে পুড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে দেশে দেশে রেকর্ড ছাড়াচ্ছে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলো আগামী সপ্তাহেও তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস করতে পারে। তাপমাত্রা কমার কোনো লক্ষণ সেখানে দেখা যাচ্ছে না। ইতালি, স্পেন ও গ্রিস গত কয়েক দিন ধরে উচ্চ তাপমাত্রার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছাতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতালির সিসিলি ও সার্দিনিয়াতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। এ বছর তীব্র গরমের মুখোমুখি হওয়ার সতর্কবার্তা আগেই পেয়েছিলেন ইতালীয়রা। রোম, বোলোগনা, ফ্লোরেন্সসহ ১৬টি শহরের বাসিন্দাদের জন্য রের্ড অ্যালার্ট জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতালির আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ গিলিও বেট্রি বলেন, তাপমাত্রা ১৯ থেকে ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। বেশ কিছু অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার আগের রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে। এদিকে গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে মাত্র ২৭ কিলোমিটার দূরে দাবানলে বেশকিছু বাড়ি পুড়ে গেছে। সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রচণ্ড জোরে হাওয়া বইছে। এর ফলে আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে। যেখানে দাবানল, সেখানে কিছুদিন ধরে তাপপ্রবাহ চলছিল। দাবানলের কারণে হাজার হাজার বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এথেন্সের ৯০ কিলোমিটার দূরে একটি রিসোর্ট শহরের কাছেও দাবানল শুরু হয়েছে। মধ্য গ্রিসে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে এথেন্সসহ বেশ কিছু জায়গায় দাবানল-সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গ্রিস ছাড়াও তুরস্ক ও ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে। স্পেনও টানা তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে। গতকাল দেশের দক্ষিণে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার গভীর রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালিতে একটি আবহাওয়া কেন্দ্র ৪৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করে। গত রোববার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর প্রদেশে অবস্থিত পার্সিয়ান গালফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাপমাত্রা অনুভূত হয় ৬৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জাপানের মানুষও ধুঁকছে গরমে। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ টোকিওর উত্তরে কুমাগায়ায় তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করে।       এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস