ফিচার

লেবানন কাউন্টিতে তৈরি হলো ১৫০ ফুট লম্বা স্যান্ডউইচ

বাড়ির বাইরে চটজলদি ক্ষুধা মেটাতে স্যান্ডউইচ, বার্গার ও সচেজের মতো খাবারের উদ্ভব হয়েছে—এমনটাই সাধারণত বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ ভারী খাবারের মতো এসব খাবার খেতে আয়েশ করে বসার প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় না খেতে বসার বিশেষ কোনো জায়গারও। এসব কারণে চিকিৎসকদের শত বাধা সত্ত্বেও ব্যস্ত নাগরিক জীবনে কাজের ফাঁকে ক্ষুধা মেটানোর অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্যান্ডউইচ, বার্গারের মতো ফাস্ট ফুড। তবে সেই স্যান্ডউইচই যদি হয় ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের, তাহলে চোখতো একটু ছানাবড়া হওয়ারই কথা। এমন ঘটনাই ঘটেছে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের লেবানন কাউন্টিতে। সম্প্রতি সেখানে একটি মেলায় একদল স্বেচ্ছাসেবক দীর্ঘতম এই স্যান্ডউইচ বানান। এটি বিশেষ ধরনের স্যান্ডউইচ, যা বোলোনিয়া স্যান্ডউইচ নামে পরিচিত। এ ধরনের স্যান্ডউইচ ধূমায়িত ও ট্যাঙ্গি স্বাদের (লেবুর গন্ধ) জন্য বিখ্যাত। এই স্যান্ডউইচ তৈরির অন্যতম উপাদান হচ্ছে ইতালির বিশেষ ধরনের পনির (প্রোভোলোন চিজ)। ১৫০ ফুট দীর্ঘ স্যান্ডউইচ বানাতে এ ধরনের ৬০০ টুকরা পনির ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টুকরা আধো মিষ্টির উপাদান। তবে মজার বিষয় হলো, স্যান্ডউইচটি আস্ত রাখা হয়নি; বরং এটির ছোট ছোট আকার দেওয়া হয়েছে। প্রতি ফুট স্যান্ডউইচকে ছয় ভাগ করা হয়েছে। অর্থাৎ ১৫০ ফুটে তৈরি হয়েছে ৯০০ খণ্ড স্যান্ডউইচ। এটি মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। অর্থাৎ অর্থ খরচ না করেও যে কেউ এই স্যান্ডউইচের স্বাদ নিতে পেরেছেন। স্বেচ্ছাসেবকেরা এই স্যান্ডউইচ তৈরি করেছেন আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার (স্পনসর) মাধ্যমে। তাঁরা প্রতি ফুট স্যান্ডউইচ তৈরির জন্য পেয়েছেন ১০০ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ১৫০ ফুট স্যান্ডউইচ তৈরির জন্য তাঁরা আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। স্যান্ডউইচ বানানোর পর স্পনসরের উদ্বৃত্ত অর্থ ও মেলায় আসা ব্যক্তিদের দেওয়া আর্থিক অনুদান খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে কাজ করা লেবানন কাউন্টি ক্রিশ্চিয়ান মিনিস্ট্রিজে দেওয়া হয়েছে। তারা এই অর্থ লেবানন উপত্যকায় খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় থাকা মানুষের সাহায্যে ব্যয় করবে। এলএবাংলাটাইমস/এজেড