স্বাস্থ্য

করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পরও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি


করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন রোগী দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই সতর্ক করা হয়েছে।

কোভিড-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের মধ্যে ফুসফুসের ক্ষতি, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, এমনকি মস্তিষ্কের ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগের (এনএইচএস) তথ্যানুসারে, করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

দ্য টেলিগ্রাফকে এনএইচএস সিকোল সেন্টারের ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর ডা. হিলারি ফ্লয়েড বলেন, ‘আমরা জানি না করোনার দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা কতটা দীর্ঘ হবে। ৫০ এবং ৬০ এর কোঠায় থাকা মানুষের ২০ বছরের মধ্যে স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি বাড়বে কিনা।’

ডা. ফ্লয়েডের মতে, বয়স্ক মানুষজন কোভিড-১৯ এর ঝুঁকিতে থাকলেও, কম বয়সি অনেক মানুষকে এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখে তিনি হতবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কম বয়সি অনেকে শারীরিকভাবে সক্রিয় ছিল, জিমে গিয়েছে, সাঁতার কেটেছে- অথচ করোনায় আক্রান্ত হয়ে তারা এখন বিছানা ছেড়ে উঠতে পারে না। আমরা সত্যিই বয়স চল্লিশের কোঠায় গুরুতর কোনো করোনা রোগী আশা করিনি, তাদের বয়স বেশি হওয়ার  প্রত্যাশা করেছিলাম।’

ডা. ফ্লয়েড আরো বলেন, ‘আমরা দেখেছি অনেক বয়স্ক রোগী সত্যিকার অর্থে করোনার বিরুদ্ধ লড়াই করে যাচ্ছেন। তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার প্রত্যাশা অনেক বেশি। তবে সুস্থ হওয়ার পরও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে।’

কিছুদিন আগে চীনের বিজ্ঞানীরাও সতর্ক করে বলেছিলেন যে, করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিরা বেশ কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে পারেন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের গবেষণায় জানানো হয়, করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীরা হতাশা, অনিদ্রা, খাবারে অনীহাসহ বিভিন্ন মানসিক এবং স্নায়বিক সমস্যায় ভুগতে পারেন। এমনকি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিও হতে পারে।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এইচ