আন্তর্জাতিক

আরো ২৫০ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে সৌদি আরব

সৌদি আরব আরো আড়াইশ’ রোহিঙ্গাকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এটি হবে চলতে বছর দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে পাঠানোর ঘটনা। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ১৩ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠায় রিয়াদ।

রোববার একটি মানবাধিকার সংগঠন এ দাবি করে। ‘ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন’ নামের ওই সংগঠনের ক্যাম্পেইন সমন্বয়ক নে সান লউইন জানান, সৌদি আরবে প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে।

সংগঠনটি সৌদি আরবকে এমন জোরপূর্বক রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত না করার অনুরোধ জানিয়েছে।

নে সান লউইন বলেন, ‘৩ লাখ রোহিঙ্গার বেশির ভাগের সৌদি আরবে বসবাসের অনুমতি রয়েছে। তারা বৈধভাবেই সৌদি আরব থাকতে পারবে। তবে জেদ্দার শুমাইসি কারাগারে থাকা রোহিঙ্গা বন্দিদের সাথে অন্যান্য রোহিঙ্গার মতো আচরণ করা হচ্ছে না। তাদেরকে সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করা হচ্ছে।’

নে সান লউন একটি ভিডিও হাতে পান। সেখানে তিনি দেখেন, যেসব রোহিঙ্গা কয়েক বছর আগে সৌদি আরব পৌঁছান তাদেরকে রোববার জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল। সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকা পাঠানো হবে।

তিনি জানান, এসব রোহিঙ্গাকে হয় রোববার রাতে কিংবা সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে পাঠানো হবে।

নে সান লউইন জানান, বেশির ভাগ রোহিঙ্গা যারা সৌদি আরব প্রবেশ করেছে তারা পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের পাসপোর্টধারী এবং এসব পাসপোর্ট তারা তৈরি করেছে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে।

সৌদি আরব ২০১১ সালের পর যেসব রোহিঙ্গা দেশটিতে প্রবেশ করেছে তাদেরকে বসবাসের অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

নে সান লউইন জানান, বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে গত দুই বছর ধরে আবেদন জানাচ্ছে। তিনি নিজেও সৌদি কর্তৃপক্ষ ও কূটনীতিকদের কাছে এ ব্যাপারে গেছেন।

তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের উচিত এসব রোহিঙ্গাকে বিতাড়িত করা বন্ধ করা এবং তাদেরকে বসবাসের অনুমতি দেওয়া।’

এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি