আন্তর্জাতিক

শিশুর ‘ঘুষ’ ফিরিয়ে দিলেন জাসিন্ডা আরডার্ন

ড্রাগন নিয়ে গবেষণা করার অনুরোধ করে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নকে ‘ঘুষ’ দিয়েছিল ১১ বছর বয়সী এক শিশু। তবে, প্রধানমন্ত্রী তা প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

ভিক্টোরিয়া নামের ঐ শিশুটি ড্রাগনদের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতে চায় বলে সরকারকে ড্রাগন বিষয়ে গবেষণার অনুরোধ করে।

প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠির সাথে ঐ শিশু নিউজিল্যান্ডের ৫ ডলারও (৩.২ মার্কিন ডলার বা ২.৫ পাউন্ড) অন্তর্ভূক্ত করেছে যেটিকে আপাতদৃষ্টিতে ঘুষ হিসেবেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।

চিঠির জবাবে প্রধানমন্ত্রী ফিরতি আরেক চিঠিতে ঐ শিশুকে জানান যে তার প্রশাসন ‘এ মুহূর্তে ড্রাগনদের বিষয়ে কোনো গবেষণা চালাচ্ছে না।’

তিনি চিঠিতে আরো লেখেন, ‘পুনশ্চ আমি তবুও ড্রাগনদের দিকে নজর রাখবো। তারা কি স্যুট পরে?'

প্রধানমন্ত্রীর জবাব হিসেবে পাঠানো চিঠিটি সামাজিক মাধ্যমের সাইট রেডিট-এ প্রকাশিত হলে খবরটি আলোচনায় আসে।

রেডিট-এর একজন ব্যবহারকারী এক পোস্টে দাবি করেন যে তার ছোট বোন 'জাসিন্ডাকে ঘুষ দেয়ার' চেষ্টা করেছিলেন।

রেডিট ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্টটি থেকে পোস্ট করা হয় যে তার ছোট বোন 'সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন যে তারা ড্রাগন সম্পর্কে কী জানে এবং তাদের কাছে কোন ড্রাগন আছে কিনা। থাকলে সে ড্রাগনের প্রশিক্ষক হতে পারে।'

প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বিবিসিকে নিশ্চিত করা হয় যে ঐ চিঠির জবাব আরডার্ন আসলেই দিয়েছিলেন।

তার কাছে চিঠি লেখার জন্য আরডার্ন ভিক্টোরিয়াকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন।

চিঠিতে তিনি লেখেন, 'যেহেতু আমরা ড্রাগন নিয়ে কোনো গবেষণা করছি না, তাই তোমার ঘুষের টাকাটাও ফেরত পাঠাচ্ছি।'

এর আগেও ছোট শিশুদের চিঠির জবাব দিয়ে চিঠি লিখেছেন আরডার্ন।

মার্চ মাসে আট বছর বয়সী এক শিশুর চিঠি জবাব দিয়েছিলেন আরডার্ন - যেটি পরবর্তীতে টুইটারে প্রকাশিত হলে মানুষের নজরে আসে।