আন্তর্জাতিক

ইরানকে ঠেকাতে সৌদিকে অস্ত্র দিচ্ছেন ট্রাম্প

ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই কংগ্রেসের তোয়াক্কা না করেই সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি কংগ্রেসকে অবহিত করেন। ইরানের অব্যাহত হুমকিকে জরুরি অবস্থা আখ্যায়িত করে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই আটশো কোটি ডলারের এ অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সৌদি আরব ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের কাছেও এসব অস্ত্র বিক্রি হবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা এসব অস্ত্র সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। সাধারণত অস্ত্র বিক্রির জন্য মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হয়। ডেমোক্র্যাট সদস্যদের অভিযোগ পার্লামেন্টে কঠোর বিরোধিতার পরিস্থিতি আচঁ করতে পেরেই জরুরি অবস্থার আশ্রয় নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

জরুরি অবস্থায় কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াও প্রশাসনিক আদেশের ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের রয়েছে।

ইয়েমেন সংঘাতে সৌদি আরবের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গত অক্টোবরে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার জন্যও অনেক কংগ্রেস সদস্য সৌদির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।

শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কংগ্রেসকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত জানানোর পর তার একটি চিঠি মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে।

যাতে মাইক পম্পেও বলেন, ইরানের ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকাণ্ডের কারণেই তাৎক্ষণিকভাবে অস্ত্র বিক্রি প্রয়োজন।

ইরানের কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা এবং বিভিন্নভাবে আমেরিকার নিরাপত্তার ওপর হুমকি সৃষ্টি করেছে জানিয়ে পম্পেও লেখেন, উপসাগরীয় এলাকা ও মধ্যপ্রাচ্যে হঠকারি সিদ্ধান্ত থেকে ইরানকে বিরত রাখতে যত দ্রুত সম্ভব এসব অস্ত্র অবশ্যই হস্তান্তর হতে হবে।

প্রসঙ্গত মার্কিন সরকার ২০১৮ সালের ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যায় এবং নভেম্বরে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে।

ইরানের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে উগসাগরীয় এলাকায় বিমানবাহী রণতরী, ক্ষেপণাস্ত্রসহ যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র।