আন্তর্জাতিক

ধর্ম বা বিশ্বাসের কারণে সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবসের বিবৃতি

বিশ্ব সম্প্রদায় গতকাল ধর্মীয় মত প্রকাশের কারণে নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘ এদিন ২২ শে আগস্ট তারিখটিকে ধর্ম বা বিশ্বাসের কারণে সহিংসতার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ করার আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে মিলে একে স্বাগত জানিয়েছে। আমাদের বিশ্বাস বিভিন্ন ধারণা নিয়ে উন্মুক্ত, গঠনমূলক এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিতর্কের পাশাপাশি স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আন্তঃধর্মীয়, আন্তঃবিশ্বাস ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ ধর্মীয় বিদ্বেষ, উস্কানি এবং সহিংসতা মোকাবেলায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র সর্বত্র ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা এবং তা এগিয়ে নেওয়ায় সংকল্পবদ্ধ। ধর্মীয় স্বাধীনতা এগিয়ে নেওয়া বিষয়ক দ্বিতীয় মন্ত্রি পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা এ ফোরামটিকে বিশ্বব্যাপী এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সংলাপ আরও এগিয়ে নেওয়ার এক অনুঘটক হিসেবেই দেখি।

১৬-১৮ জুলাই ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ওই মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকে নাগরিক সমাজের এক হাজারের বেশি সদস্য এবং বিদেশি সরকার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ১০৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের আয়োজিত এ যাবতকালের বৃহত্তম মানবাধিকার বিষয়ক সম্মেলন।

ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা এবং ধর্মীয় নিপীড়ন ও বৈষম্য মোকাবেলায় সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা ঠিক করা ছিল এর লক্ষ্য।

মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, ‘আমরা সবসময়ই আপনার বিবেকের নির্দেশ অনুসারে জীবনধারণ, কাজকর্ম ও উপাসনা করার স্বাধীনতার পক্ষে থাকব। আর ধর্মীয় স্বাধীনতা সর্বদাই হবে যুক্তরাষ্ট্রের চেতনার অন্যতম মূল সুর।’