আন্তর্জাতিক

পৃথিবীর ‘সবচেয়ে বয়স্ক’ পুরুষের মৃত্যু


নাম তার ফ্রেডি ব্লুম। সনদপত্রে লেখা আছে তিনি জন্মেছেন ১৯০৪ সালে। অনেকের মতেই তিনিই ছিলেন বেঁচে থাকা সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ। যদিও গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে কখনো এই স্বীকৃতি দেয়নি। ১১৬ বছর বয়সে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় মারা গেছেন।


ফ্রেডি যখন কিশোর ছিলেন তার পুরো পরিবার স্প্যানিশ ফ্লুতে মারা যায় ১৯১৮ সালে। তবে তিনি বেঁচে ছিলেন। টিকে ছিলেন আরও দুটি বিশ্বযুদ্ধ। এবার তার মৃত্যু করোনা মহামারি নয় বরং বার্ধক্যজনিত কারণে হয়েছে বলে তার নিকটাত্মীয়রা জানিয়েছেন।

২০১৮ সালে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্লুম বলেন দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার কোনো রহস্য তার জানা নেই। এটি তিনি ঈশ্বরের ইচ্ছা বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ওপরে তিনিই আছেন। তিনি সকল ক্ষমতার মালিক। আমার কিছুই নেই। আমি যেকোনো সময় মরতে পারি। তার ইচ্ছায় তিনি আমাকে রেখেছেন।

শ্রমিক হিসেবেই জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন ব্লুম।  তিনি প্রথমে ফার্মে কাজ করেন। এরপর নির্মাণ-শ্রমিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেন। অবসরে গিয়েছিলেন ৮০ বছর বয়সে। মদ্যপানের অভ্যাস থাকলেও অনেক বছর আগেই তা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে নিয়মিত ধূমপান করতেন।

করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় তিনি ১১৬তম জন্মদিনে সিগারেট কিনতে বেরুতে পারেননি। শনিবার তার মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে হয় বলে জানিয়েছে ব্লুম ফ্যামিলি। আন্দ্রে নাইদো নামের একজন বলেন, দুই সপ্তাহ আগেও সে কাটত। ছিল শক্তিশালী ও সাহসে ভরপুর একজন মানুষ। তবে শেষ-কিছু দিনে তিনি নেতিয়ে পড়েছিলেন।


এলএবাংলাটাইমস/এনএইচ