আন্তর্জাতিক

হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করলো আমেরিকা

রাশিয়া ও চীনের পর এবার হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্রের পাল্লায় নাম লিখাচ্ছে আমেরিকা। গত বুধবার (২০ অক্টোবর) ভার্জিনিয়া রাজ্যের সফলভাবে ক্ষেপনাস্ত্রটি সফলভাবে পরীক্ষিত হয়েছে বলে দাবি করেছে নাসা। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে আমেরিকার নৌবাহিনী দাবি করে তারা সফলভাবে ক্ষেপনাস্ত্রটি পরীক্ষা করেছে। আমেরিকার সামরিক শক্তি বিকাশে এই পরীক্ষাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে দাবি করেছে। অপরদিকে, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটির অস্ত্রাগারে হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্র মজুদ করার কথা ভাবছে পেন্টাগন। চীন ও রাশিয়ার সাথে টেক্কা দেবার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। ২০১৯ সালে ডিএফ-১৭ নামের একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সামনে এনেছিল চীন। ক্ষেপনাস্ত্রটি পারমানবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম বলে ধারণা করা হয়েছিলো। চলতি বছরের আগস্ট মাসেও চীন হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়াও সাবমেরিন থেকে জারকন নামের একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ করে। পাশাপাশি ২০১৯ সাল থেকেই দেশটির হাতে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। চীন ও রাশিয়ার এই উত্থানের কারণে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলো আমেরিকা। রাশিয়ার বিপুল পারমানবিক অস্ত্রাগার ও চীনের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা আমেরিকার মাথাব্যথায় পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করার মাধ্যমে আমেরিকা শক্তির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনছে। প্রচলিত ক্ষেপনাস্ত্রের তুলনায় হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্র বেশি উন্নত। শব্দের বেগের চেয়ে ৫ গুন বেশি দ্রুত চলায় এই ক্ষেপনাস্ত্র চিহ্নিত করা ও ঠেকানো প্রায় অসম্ভব। এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ