আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে অস্ত্র সহায়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

যুদ্ধে সম্প্রতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইউক্রেন। দেশটির উত্তর-পূর্বদিকের শহর খারকিভ থেকে রাশিয়া সম্প্রতি সেনা প্রত্যাহার করায় সেখানে প্রায় আট হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল দখলে নিয়েছে ইউক্রেন। এ অবস্থায় ইউক্রেনকে নতুন করে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম না দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি গত বৃহস্পতিবার আহ্বান জানিয়েছে মস্কো। কিন্তু একই দিন ইউক্রেনকে আরও ৬০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। গত বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে নতুন করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করে, তা ‘রেড লাইন’ লঙ্ঘন বলে ধরে নেবে মস্কো। রেড লাইন বা চরম সীমার লঙ্ঘনের অর্থ, যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেন সংঘর্ষের একটি পক্ষ হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। নিজেদের সীমান্ত রক্ষায় রাশিয়ার ন্যায্য অধিকার রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনকে দফায় দফায় সামরিক সহায়তা দিয়েছে। বৃহস্পতিবারের সামরিক সহায়তা প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ইউক্রেনের নাগরিকেরা নিজেদের দেশ রক্ষায় অপূর্ব বীরত্ব দেখিয়ে চলছেন। তাঁরা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ করছেন। খুব ভেবেচিন্তেই আমরা কিয়েভকে সহায়তা করছি। নতুন সহায়তা দেশটির রণক্ষেত্রের দৃশ্যপট বদলে দিতে পারে। এটা আলোচনায় কিয়েভের হাত ভারী করবে। নতুন প্যাকেজে কী কী সামরিক সরঞ্জাম থাকবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে যেসব সরঞ্জাম যুদ্ধের গতি সম্প্রতি ইউক্রেনের পক্ষে নিয়ে এসেছে, সেই একই রকমের অস্ত্র দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউক্রেনের সেনারা বর্তমানের যেসব মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করছে, সেগুলোর মধ্যে হাই মোবিলিটি
রকেট সিস্টেম (হিমার্স) অন্যতম। এটা দিয়ে নিখুঁতভাবে ৫০ থেকে প্রায় দেড় শ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা যায়। এশিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে ইউবে পারপ্যাট লিখেছেন, ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করাকে রেড লাইন বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি রাশিয়া যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তা গভীর অর্থবহ। এটা যুদ্ধকে নতুন ক্ষেত্রে টেনে নিয়ে যেতে পারে। ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন অস্ত্র ধ্বংসের জন্য নির্বিচারে ইউক্রেনের বেসামরিক স্থাপনায় হামলা শুরু করতে পারে রাশিয়া। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সীমিত পরিসরে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এলএবাংলাটাইমস/এজেড