ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সহিংস বিক্ষোভ চলছে। কুর্দি সম্প্রদায়ের ওপর গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যার জেরে এই বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা শহরের রাস্তায় থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছেন। আগুন দেওয়া হয়েছে অনেক গাড়িতে। এ সময় সংঘাত থামাতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ। খবর বিবিসির।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) প্যারিসে কুর্দিদের একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও একটি রেস্তোরাঁয় বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হন। হামলার পর ৬৯ বছর বয়সী একজন শেতাঙ্গকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বিদেশিদের ঘৃণা করেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। হামলা চালাতে তিনি একটি পিস্তল ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়া তাঁর কাছ থেকে দুটি ম্যাগাজিন ও গুলি জব্দ করা হয়েছে।
ওই হামলার পরপরই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, লোকজন গাড়ির জানালা ভাঙচুর করছেন। অনেকে আবার এসব গাড়িতে আগুন দিচ্ছেন। পরে শনিবার কয়েক শ কুর্দি নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একত্রিত হন। সেখান থেকে আবার সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির একজন অবসরপ্রাপ্ত ট্রেনচালক। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত বছরে প্যারিসের একটি শরণার্থীশিবিরে তিনি তলোয়ার নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকালের হামলার কয়েক দিন আগেই তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন।
এর আগে ২০১৩ সালে জানুয়ারিতে প্যারিসে কুর্দিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেবার তিন কুর্দি নারী মানবাধিকারকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। ওই হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনো সুরাহা করতে পারেনি ফ্রান্সের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে ফ্রান্সে কুর্দি ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের একজন আইনজীবী বলেন, কুর্দিরা আবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস