আন্তর্জাতিক

তাইওয়ানের সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক চাকরি করতে হবে এক বছর

সেনাবাহিনীতে জনগণের বাধ্যতামূলকভাবে চাকরি করার সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে তাইওয়ান। অঞ্চলটির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, আজ মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। খবর এএফপির নতুন বিধি অনুযায়ী, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির জনগণকে বাধ্যতামূলকভাবে এক বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে চার মাস কাজ করতে হতো। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের কার্যালয় থেকে বলা হয়, অঞ্চলটির বেসামরিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদারে আলোচনা করতে আজ সকালে জাতীয় নিরাপত্তা বৈঠক ডাকা হয়েছে। নতুন বেসামরিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর বৈঠকটি ডাকা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারাসহ সাই-এর নিরাপত্তা দলটি ২০২০ সাল থেকে তাইওয়ানের সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন। উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি বলেন, চীনের বিভিন্ন একতরফা আচরণ আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছে। সামরিক বাহিনীতে আরও যেসব সংস্কার আসতে পারে তার মধ্যে আছে—সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে নিযুক্ত সেনাদের জন্য প্রশিক্ষণ জোরালো করা। এর আওতায় মার্কিন বাহিনীগুলোর ব্যবহৃত যুদ্ধ নির্দেশনাগুলো তাইওয়ানের বাহিনীতে ব্যবহার করা হতে পারে। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন ব্যবস্থাটি ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হতে পারে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।সরকারি ও ক্ষমতাসীন দলের সূত্রের বরাতে গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয় সামরিক চাকরিতে বাধ্যতামূলক নিযুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আজ ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিযুক্তির প্রবণতা থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে স্বেচ্ছাসেবীভিত্তিক পেশাদার বাহিনীর দিকে ঝুঁকছিল তাইওয়ান। তবে চীন ক্রমাগত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করায় এবং ইউক্রেনের রুশ অভিযানের পরিস্থিতিতে তাইওয়ান তাদের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে চাইছে। গতকাল তাইওয়ানের সরকার দাবি করেছে, ২৪ ঘণ্টায় যুদ্ধবিমান এবং ড্রোনসহ চীনা বাহিনীর ৭১টি বিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যম বলছে, এটি যাবৎকালে চীনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা। চীন বলছে, তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ ও যুক্তরাষ্ট্রের উসকানির জবাবে এ মহড়া চালিয়েছে তারা। তবে তাইওয়ান বলছে, এ মহড়ার মধ্য দিয়ে বোঝা গেছে বেইজিং আঞ্চলিক শান্তিকে নষ্ট করছে এবং তাইওয়ানের জনগণকে আতঙ্কিত করতে চাইছে।



এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস