আন্তর্জাতিক

ওবামার শেষ ভাষণের মূল বিষয় আশাবাদ

আজ শেষবারের মতো ‘স্টেট অব দি ইউনিয়ন’ ভাষণ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। উদ্বেগসংকুল নির্বাচনের আগে এই ভাষণ তিনি কাজে লাগাবেন আশাবাদ ব্যক্ত করার মঞ্চ হিসেবে। সাত বছর আগে এক তরুণ কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট প্রথমবার স্টেট অব দি ইউনিয়ন ভাষণ দেন। ওই সময় দুর্বল অর্থনীতির এক অনিশ্চিত সময় সামনে পড়েছিল। আর আজকের শেষ ভাষণে আশার বাণী শোনাবেন তিনি।

হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্টের এবারের ভাষণ খুব গতানুগতিক হবে না। এবার ওবামা আর সারা বছরের কাজের তালিকা জানাবেন না। বরং প্রেসিডেন্সির বাইরে গিয়েও কথাবার্তা বলবেন। ওবামা একজন অসাধারণ বক্তা। তিনি কর্মসূচি বাস্তবায়নে এই বিশেষ প্রতিভার বিশেষ প্রয়োগ ঘটান বলে তাঁর সমালোচনা রয়েছে। জাতির সামনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর সাফল্য-ব্যর্থতা তুলে ধরার এই হবে শেষ সুযোগ। ধারণা করা হচ্ছে, এবারও অন্তত তিন কোটি লোক তাঁর এই ভাষণ শুনবেন। এরপর সম্ভবত ডেমোক্রেটিক দলের কনভেনশনেই এক সঙ্গে এত শ্রোতা-দর্শক পাবেন তিনি। এ বছরের আরো পরের দিকের ওই সমাবেশে তিনি দলের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সামনে নিয়ে আসবেন।
ভাষণে ওবামা তাঁর প্রশাসনের সাফল্যের দিকটিও তুলে ধরবেন। এতে স্থান পাবে স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার থেকে শুরু করে সমকামীদের অধিকার, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে শুরু করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় বাণিজ্য চুক্তি। শেষেরটি অবশ্য এখনো সই হয়নি।
হোয়াইট হাউসের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ‘এবারের ভাষণ হবে সম্ভাবনার। এখন দায়িত্বের বাইরে তাকানোর সময় হয়েছে।’ গত শরৎ থেকেই এই ভাষণের প্রস্তুতি চলছিল। তবে এ ধরনের ভাষণের ঝুঁকিও রয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারা। ওভাল অফিসে ওবামার আর মাত্র কয়েকটি মাস বাকি। এ সময় জনগণের মন বুঝতে ব্যর্থ হলে তাঁর জন্য বিষয়টি ভালো হবে না। সূত্র : এএফপি।