আন্তর্জাতিক

জিমি লাইয়ের বিচার শুরু

জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা এবং বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে হংকংয়ের গণতন্ত্র পন্থি মিডিয়া মোগল জিমি লাইয়ের বিচার শুরু হয়েছে। এসব অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখার পর তার বিচারকার্য শুরু হলো। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।   জিমি লাইকে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) আদালতে হাজির করা হয়। জিমি লাই যদি এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে তার। যদিও ৭৬ বছর বয়সী জিমি লাই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাগারে আছেন জিমি লাই। তাকে চীনের চালু করা জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমন করতে হংকংয়ে এ আইন কাজে লাগিয়ে আসছে চীন। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে লাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে এই মামলা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। হংকংয়ের বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতার পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে তার বিচারকে। জিমি লাই হংকংয়ের গণতন্ত্র পন্থি হিসেবে পরিচিত অ্যাপল ডেইলির মালিক ছিলেন। পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করে দিয়েছে চীন কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালের আগস্টে জিমি লাইসহ আরো কয়েক জনকে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়। তিনি চীনের অন্যতম কট্টর সমালোচক। গত তিন বছর ধরে নির্জন কারাকক্ষে রাখা হয় জিমি লাইকে। বিচার বিলম্বিত করা হয় এক বছরের জন্য। সোমবার তা শুরু হয়েছে। প্রায় ৮০ দিন এই বিচার চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। গণতন্ত্র পন্থি ব্যাপক বিক্ষোভ সামাল দিতে ২০২০ সালে হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করে চীন। বলা হয়, অশান্ত পরিবেশকে ঠাণ্ডা করতে এ আইন চালু করা প্রয়োজন ছিল। এ আইনে জিমি লাইকে একজন দেশদ্রোহীর তকমা দেওয়া হয়। বলা হয়, তিনি চীনের জাতীয় নিরাপত্তা খর্ব করতে চেয়েছিলেন। তবে সমালোচকরা বলছেন, জিমি লাইয়ের ঘটনা হংকংয়ের ওপর চীনের কঠোর নিয়ন্ত্রণের আরেকটি উদাহরণ। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) লাইয়ের বিচার শুরুর আগে আদালত প্রাঙ্গণে কড়া পুলিশ প্রহরা বসানো হয়। পথচারীদের থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। আদালতের বাইরে অবস্থান নেন ৭৭ বছর বয়সী সুপরিচিত গণতন্ত্র পন্থি কর্মী আলেকজান্দার ওং। তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে স্লোগান দেন। তাকে ঘিরে রাখে পুলিশ।

 এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস