আন্তর্জাতিক

গাজায় গণহত্যার মতো ‘কার্যকলাপ’ দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র

গাজায় গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে এমনটি ধরে নেওয়ার মতো কার্যকলাপ দেখছে না যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাউথ আফ্রিকার করা মামলার প্রেক্ষিতে তা জানিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।   আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)-তে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করায় সাউথ আফ্রিকার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘গাজার মানুষের উপর গণহত্যা চালানোর’ অভিযোগে ইসরায়েলে বিরুদ্ধে হেগভিত্তিক আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি মামলাটিকে, অযোগ্য, ‘কাউন্টারপ্রোডাক্টিভ’ এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার অভিযোগটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা এমন কার্যকলাপ দেখছি না যা গণহত্যা বলে বিবেচিত হতে পারে।’ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণহত্যা অবশ্যই জঘন্য নৃশংসতা। এটা এমন অভিযোগ যা হালকাভাবে গঠিত হওয়া উচিত নয়।’ সাউথ আফ্রিকা প্রায়ই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলের আচরণের সমালোচনা ও কর্মকাণ্ডকে নিজেদের জাতিবিদ্বেষের ইতিহাসের সঙ্গে তুলনা করে। তাদের অভিযোগ, ‘গাজায় ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের সুনির্দিষ্ট অভিপ্রায় নিয়ে কার্যকলাপ চালাচ্ছে ইসরায়েল।’ গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধে ইসরায়েলকে বাধ্য করতে আদালতের কাছে নির্দেশনার আবেদন জানিয়েছে দেশটি। অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, আইসিজে-তে তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করবে। সাউথ আফ্রিকার এই উদ্যোগকে ষড়যন্ত্র হিসেবেও অভিহিত করেছে তারা। এদিকে গাজার ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন করা নিয়ে ইসরায়েলের দুই মন্ত্রীর প্রস্তাবের কড়া সমলাচোনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের বক্তব্য সরকারের অবস্থান নয় বলে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ মানুষকে হামাস হত্যা করার পর গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইসরায়েলসহ বিভিন্ন দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া বুধবারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় মারা গেছেন ২২ হাজার ৩১৩ ফিলিস্তিনি।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস