পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের সংবিধানের ৬৩ এর ১ এর 'এইচ' অনুচ্ছেদের অধীনে এই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। খবর দ্য নিউজের।
নির্বাচনী সংস্থার জারি করা নোটিশে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকে ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে এবং পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত বিশেষ আদালত কুরেশিকে সাইফার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে। এজন্য তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং সংবিধানের ৬৩ এর ১ এর 'এইচ' অনুচ্ছেদের অধীনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
ইসিপি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নির্বাচন আইন, ২০১৭ এর ধারা ২৩২ এর অধীনেও কুরেশিকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। প্রবীণ এই পিটিআই নেতা এনএ-২১৪ (থারপারকার) সিন্ধু থেকে তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে জাতীয় পরিষদের আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
গত মাসে একবার কুরেশি এবং তার ছেলে জাইন কুরেশির মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পরে সিন্ধু হাইকোর্টের আপিল ট্রাইব্যুনাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
জাইন কুরেশি এনএ-১৫০ এবং এনএ-১৫১ (মুলতান) থেকে দুটি প্রাদেশিক পরিষদের আসনের প্রার্থী ছিলেন। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার আবেদন বাতিল করেন। পরে লাহোর হাইকোর্টের মুলতান বেঞ্চ আপিল ট্রাইব্যুনালও আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন।
গত ৩০ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের সাইফার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং কুরেশির বিরুদ্ধে।পাশাপাশি ইমরান খানকে দেওয়া হয়েছিল ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা। এবার কুরেশি পেলেন পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস