আন্তর্জাতিক

বিপদে ১০০০ ডলার খরচের সামর্থ্য নেই দুই-তৃতীয়াংশ মার্কিনির

আমেরিকা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি এবং একক সুপারপাওয়ার। তবে বেশিরভাগ আমেররিকানের আর্থিক অবস্থাই অত্যন্ত শোচনীয়।


নতুন এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, জরুরি প্রয়োজনের সময় ১ হাজার ডলার বা ৮০ হাজার টাকার যোগান দেয়ার সামর্থ্য নেই দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকানের।


বৃহম্পতিবার এপি প্রকাশিত এক জরিপে এই বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া গেছে। এপি এবং এনওআরসি সেন্টার জরিপটি পরিচালনা করেছে।


জরিপে দেখা যায়, আর্থিক এই দুরাবস্থা আমেরিকার সব শ্রেণির লোকদের। দেশটির ৭৫ ভাগ পরিবারের বার্ষিক আয় ৫০,০০০ ডলার (প্রায় ৪০ লাখ টাকা) হলেও বিপদাপদে ১ হাজার ডলার খরচ করার সামর্থ্য তাদের নেই।


তবে যেসব পরিবারের আয় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার তাদের এই দুরাবস্থা ৬৭ ভাগ কম।


এমনকি দেশটির সবচেয়ে ধনী ২০ ভাগ, যাদের বার্ষিক আয় ১ লাখ ডলারের বেশি, তদেরও ৩৮ ভাগ বলেছেন যে বিপদাপদে ১ হাজার ডলার যোগান দেয়া তাদের জন্য কঠিন।


যেমন হ্যারি স্প্যাঙ্গলের কথাই ধরুন। নিউ জার্সির ৬৬ বছর বয়সী সাবেক এই ইলেকট্রিসিয়ান ভাবতেন তার চাকরি কখনো যাবে না এবং তিনি যা পাও খরচ কর নীতিতে চলতেন।


কিন্তু আমেরিকায় মন্দা শুরু হলে তি বেকার হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ১ হাজার ডলারের জরুরি প্রয়োজন হলে তিনি বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে ধার নিতেন।


তবে এসব সত্ত্বেও গড়পড়তা আমেরিকানদের দিন খারাপ যায় না। তারা প্রাত্যহিক ব্যয় ভালোভাবেই সামাল দেন।


বেশিরভাগ আমেরিকান বলেছেন, বেকার হলে কিংবা চিকিৎসার জন্য ১ হাজার ডলার প্রয়োজন হলে তারা হাতের নগদ অর্থ থেকে সেটা মেটাবেন।


এক তৃতীয়াংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নেবেন কিংবা বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করবেন অথবা ক্রেডিট কার্ডের ওপর নির্ভর করবেন।


১৩ ভাগ বলেছেন, তারা অন্যান্য বিল পরিশোধ হয়তো বন্ধ রাখবেন আর ১১ ভাগ বলেছেন, তারা ওই বিল আদৌ পরিশোধই করবেন না।

এই জরিপে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ আমেরিকানের ১ হাজার ডলার জমা বা সঞ্চয় নেই।